Blog

ঘোমটা নিয়ে মিতা হক কি বলেছেন, কেন বলেছেন?

13/08/2013 00:56
রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী মিতা হকের বক্তব্য নিয়ে অনেক জল ঘোলা হয়েছে। শুনে, না শুনে হুজুগেরা তাঁর চৌদ্ধগোষ্টী উদ্ধার করে ফেলেছেন। অনেকেই আবার বাঙালির পোশাক ঘোমটা হবে কি না তা নিয়ে রীতিমত তুমুল বিশ্লেষণি বক্তব্যও ঝেড়েছেন। তবে এই প্রথম শোনা কথা বাঙালির পোশাক ছিল ঘোমটা যদিও যা জানি তা হলো এই ‘খানিক ঘোমটা’ একটা অভ্যাস কিংবা রুচি ছিল গ্রাম্য সমাজের যা অনেক দিন ধরেই বহমান ছিল। কিন্তু বাঙালির পোশাক ঘোমটা এমন অদ্ভুত ঘোষণা সম্ভবত এবারই প্রথম! মিতা হকের বক্তব্য পুরোটা শোনার মত ধৈর্য্য আমাদের অনেকেরই নাই তা ছিল অনুমিতই। এবং বাস্তবতা এর থেকে ভিন্ন কিছু না। ফলে চিলের পেছনে ছোটার মত মানুষের ‘পণ্ডশ্রম’ শামসুর রাহমানের সে কবিতার মতই এক সময় তা প্রমাণ হবে। কিন্তু এই প্রমাণের আগে কিছু লোকের ফাঁকা মস্তিস্কের সপ্রতিভ উপস্থিতি এত সহজে হয়ত আশা করিনি। কিন্তু অতি নির্মম বাস্তবতা এমনই! মিতা হক হঠাৎ করে এমন তুমুল সমালোচনার মুখে পড়ার মুল কারণ তার বক্তব্য বিকৃত অথবা আংশিকভাবে প্রচার। আংশিক বক্তব্য যে কোন বক্তব্যকে সমালোচনার মধ্যে ফেলে দিতে পারে। আর তা যদি হয় ইচ্ছেকৃত তাহলে সমালোচনার পাল্লা ভারি হয়ে যাওয়া ছাড়া উপায়...
>>

GSP সুবিধা স্থগিত: ক্ষতি সাময়িকভাবে আর্থিক নয়, তবুও আশংকা

29/06/2013 02:44
জেনারেলাইজড সিস্টেমস অব প্রেফারেন্স (জিএসপি) এর আওতায় গত বছর আমেরিকায় রপ্তানি করা পণ্যের তালিকার মধ্যে ছিল তামাক, প্লাস্টিক-প্লাস্টিকজাত পণ্য, চীনামাটির পণ্য ও খেলা সামগ্রী। এর সবগুলো বাংলাদেশের তৈরি করে না। বাংলাদেশের গার্মেন্ট পণ্য বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দাবি জানানোর পরও আমেরিকায় শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পায় নি। আমেরিকার GSP স্থগিত আর্থিকভাবে যতটা না প্রভাব পড়বে তারচেয়ে বেশি ভাবমূর্তিতে!  কারণ আমেরিকা সারাবিশ্বের প্রভাবক এক শক্তি! জিএসপির আওতায় বাংলাদেশ প্রায় পাঁচ হাজার পণ্য শুল্কমুক্ত সুবিধায় যুক্তরাষ্ট্রে রফতানি করতে পারে। প্রতি বছর আমেরিকায় রপ্তানি করা পণ্যের মাত্র এক শতাংশ GSP'র আওতাভুক্ত ছিল। যা প্রায় পাঁচশ কোটি ডলারের রপ্তানি আয়ের খুব ছোট্ট একটা অংশ বটে। কারণ আমাদের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাক খাত যুক্তরাষ্ট্রের জিএসপি সুবিধার আওতায় না। কিন্তু ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ক্ষেত্রে তা ভিন্ন। ইইউভুক্ত দেশসমূহে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত জিএসপি সুবিধা পেয়ে থাকে। আমেরিকা সরাসরি সব জায়গায় তার হাত-কালোহাত বিস্তার না করলেও পৃথিবীর ভিন্ন ভিন্ন দেশ আমেরিকায় বৃষ্টি হলে তারা নিজ নিজ শহরে...
>>

অপশব্দ গোলাম আযম একাত্তরের গণহত্যার সারাংশ

02/06/2013 08:24
রাজাকার শব্দের অর্থ এবং তাদের কার্যকলাপ জানার আগেই চিনেছিলাম গোলাম আযমকে। নামটা ভয়ংকর এক অশনিসংকেত হিসেবেই দেখা দিয়েছিল। যখন নিজের নাম ঠিকানা ভাল ভাবেই লিখতে এবং বলতেও জানতাম না তখনো ছিল এই নাম। এরপর আস্তে আস্তে বেড়ে ওঠা এবং পরবর্তী সময়ে পরিচয়! গোলাম আযম আর রাজাকার এই শব্দ দু’টি সত্যিকার অর্থেই আতংক জাগানিয়া নাম। খুব ছোটবেলাকার কাহিনী, গ্রামে থাকতেই গোলাম আযমের সাথে পরিচয়! চেহারা দেখিনি তখনও! গ্রামের পাশ দিয়েই সড়ক ও জনপথের বড় রাস্তা। সেখান দিয়ে অনেক অনেক গাড়ির আসা-যাওয়া। রাস্তা পার হতে গিয়ে খুব সাবধানী হতে হত। ছোট-বড় অনেক গাড়ি,হর্ণ,সাই-সাই ছুটে যাওয়া। তখনো একা একা বড় রাস্তার আশপাশে যেতাম না। পরিবারের কড়া নিষেধ ছিল। নিষেধ অমান্য করলে বেতের বাড়ি! বিকেলে তবু একটু ফুরসৎ আর স্বাধীনতা! পারিবারিক বিধিনিষেধের খানিক ছাড় তাই সুযোগ হত একটু-আধটু! ক্রিকেট-ফুটবল মাথা-মগজে তাই রাস্তা পার না হয়ে মাঠে যাওয়া সম্ভব ছিল না! পাকা রাস্তা মানে বাস-ট্রাক আর গাড়ির বহর! বড় বড় ট্রাকের উদ্দাম গতি দেখে খুব ভয় পেতাম। আমাদের চাইতে বয়সে বড়রা ট্রাক দেখলে ঝাপটে ধরে আটকে দিয়ে বলতেন- সাবধান,সাবধান গোলাম আযম; গোলাম আযম...
>>

সম্পাদক পরিষদ (Editors Council) নামে গঠিত হলো পত্রিকা সিণ্ডিকেট!

26/05/2013 02:02
পত্রিকা সম্পাদক সিণ্ডিকেট দৃশ্যমান হলো। ১৬ সম্পাদক কর্তৃক মাহমুদুর রহমানের মুক্তি দাবি করার পর এই দাবি বিভিন্ন মহলে বিতর্কিত হলেও তারা এবার অন্য পথে গিয়ে "সম্পাদক পরিষদ (Editors Council)" গঠন করেছেন। মাহমুদুর রহমানের মুক্তির জোরালো দাবি জানাবার পর পরই তাদের এই " সম্পাদক পরিষদ" গঠন যে উদ্দেশ্যমূলক তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বলা হয়েছে, সংবাদপত্রের পূর্ণ স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের অধিকার সুরক্ষায় সক্রিয় ভূমিকা পালন, সাংবাদিকতার পেশাগত মানোন্নয়ন ও সম্পাদকীয় প্রতিষ্ঠান শক্তিশালী করার লক্ষ্যে এই পরিষদ গঠনের উদ্দেশ্য। কিন্তু পরিষদ গঠন হলেও এর কোন গঠনতন্ত্র এখনো করা হয় নি বলে তাদের উদ্দেশ্য নিয়ে চিন্তার কারণ আছে বৈকি! "সম্পাদক পরিষদ (Editors Council)" বলে যা গঠিত হয়েছে তার সদস্য সংখ্যা আপাত ১৯। যার মধ্যে মাহমুদুর রহমানের মুক্তি দাবি জানানো সম্পাদক রয়েছেন ১৪ জনই! শুধুমাত্র বাদ পড়লেন যুগান্তরের নির্বাহি সম্পাদক সাইফুল আলম। এই পরিষদে স্থান হয়েছে মাহমুদুর রহমানের মুক্তির বিবৃতি সাক্ষর না করা আনোয়ার হোসেন (ইত্তেফাক) এবং শ্যামল দত্ত (ভোরের কাগজ)। বাকি ৩ জন স্থান পেলেন ঢাকার বাইরের পত্রিকার সম্পাদক...
>>

হেফাজতে ইসলামের রাজনৈতিক ধ্বংসাবশেষের শেষ ঠিকানা কোথায়?

08/05/2013 14:58
হেফাজতে ইসলামের ঢাকা অবরোধের আড়ালে ঢাকা দখলের সকল চক্রান্ত অবশেষে মাঠে মারা গেল। ইসলামী হুকুমত কায়েমের দিবাস্বপ্ন এভাবে মাঠে মারা যাবে বলে তারা ভাবেনি। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে বাংলাদেশ আর যাই হোক পাকিস্তান কিংবা আফগানিস্তানি ভাবধারা দিয়ে চলে না। এর প্রমাণ যত খুঁজতে যাওয়া হবে ঠিক ততবারই আমাদের সামনে চলে আসবে পূর্ববর্তী ইতিহাসমূহ। আমাদের ইতিহাস আর ঐতিহ্য বলে ধর্ম নিয়ে এই দেশ কখনো ধর্মযুদ্ধে জড়ায়নি যদিও বার বার এই ধর্ম সামনে এসেছে রাজনীতির ঘুটির চাল হিসেবে। একাত্তর প্রমাণ করেছিল এবং একাত্তরের সে চেতনা ধরে সদা জাগরূক হয়ে আছে এই সময়; সেই সময়! হেফাজতে ইসলামকে অনেকেই হেফাজতে জামায়াতে ইসলাম বলে থাকেন। এই বলার পেছনে যুক্তি আছে কারণ এই সংগঠনটি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছে তখন যখন দেশ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি এবং একাত্তরের ঘাতক দল জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধের দাবিতে একাট্টা হয়েছিল। গণজাগরণ আন্দোলন যখন তুঙ্গে তখনই তাদের আবির্ভাব এবং শাহবাগের জামায়াত-শিবিরবিরোধি ব্লগারদের নাস্তিক আখ্যা দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে কৌশলে মাঠে নেমেছিল। এরপর তাদের বহুল আলোচিত লংমার্চ এবং ১৩ দফা দাবি। এই ১৩ দফা দাবি যার...
>>

মহান মে দিবস: শ্রমিক আমি তবু মানুষই তো!

01/05/2013 00:26
১৮৮৬ সাল থেকে ২০১৩ সাল,মাঝখানে কেটে গেছে শত বছরেরও বেশি সময়। শিকাগো শহরের হে মার্কেট থেকে যে আগুনের শিখা জ্বলেছে তা দিনে দিনে শহরে-শহরে ছড়িয়েছে। আন্তরিকতা আর অধিকার আদায়ের সংগ্রাম থেকে ক্রমে রূপ নিয়েছে দিবসি আলংকারিক আয়োজনে। ঘটা করে দেশে-দেশে,শহরে-শহরে পালন হচ্ছে। মালিক হয়ে  আসছে প্রধান অতিথি! মঞ্চে উঠে বলে যায় শ্রমিক অধিকারের কথা। খানিকক্ষণ বাদে ভুলে যায় যা বলেছিল আর যা করার দরকার ছিল তার সবকিছুই একেবারে না ভুলেই। এ এক অদ্ভুত নিয়তি! ইতিহাসের সে কাহিনী, দাবি ছিল আট ঘন্টা শ্রমের। মালিকেরা তা মানবে কেন! তাই চললো গুলি! মারা পড়লো কয়েকজন যাদের নাম জানা অথবা অজানা। অতঃপর শ্রমের মূল্যায়নসহ আটঘন্টা শ্রম অধিকার প্রতিষ্ঠা পেল! তারপর ধীরে ধীরে সময়ের বিবর্তনে আদায়কৃত দাবি আড়ালে পড়ে যেতে পোষাকী আধুনিকতার! যার রেশ এখনো চলছে; চলবে হয়ত! এই দাবি পূরণের প্রতিশ্রুতি আসলে অতিলোভ আর অব্যবস্থাপনার কবলে দিন দিন বন্দী হয়ে যাচ্ছে। ফলে শ্রমিক হারাচ্ছে তার ন্যায্য দাবি আর বিপরিতক্ষেত্রে মালিকেরা ক্রমে হয়ে উঠছে অসহ মাত্রায় বেপরোয়া। শ্রমিক হয়রানিসহ বিভিন্নভাবে মৃত্যুঝুঁকিতে শ্রমিক। তাই বার বার আমাদের হৃদয়...
>>

সাভার ট্রাজেডি: কালের কান্না আমি শুনতে পাই, তুমি কেন পাও না?

27/04/2013 23:13
সাভারের রানা প্লাজা ট্রাজেডির পর সারা দেশের মধ্যে চাঁপা কান্না বিরাজ করছে। এই কান্না এক সময় মহীরুহ আকার ধারণের অপেক্ষায়। মানুষের জীবনকে খেলনা ভাবার এই খেসারতের কোন ক্ষতিপূরণ নেই। কিন্তু তবু প্রশাসনিক রীতির কারণে ক্ষতিপূরণের ঘোষণা দেয়া হয় এবং এর সংখানুপাতিক ভেদে আমরাও এখানে তাল মিলাই। কত কম হলো আর কতখানি বেশি হতে পারত এই নিকাশ। বিষয়টি হৃদয়বিদারক এবং মানুষের জীবনের মূল্য আরোপের একটা প্রচেষ্টা চলে আসছে। বেঁচে থাকতে যাদের জীবনের মূল্য নেই কানাকাড়ি মৃত্যুর পর তাদের লাশ সংখ্যাভেদে সামান্য কিছু টাকায় জীবনের এই মূল্যমান নির্ধারণ করে দেয়া কতখানি অমানবিক হতে পারে তা বলাই বাহুল্য। অথচ এই মূল্যমান নিশ্চিত করার চাইতে সবচেয়ে জরুরি বিষয় ছিল বেঁচে থাকাকালীন সময় থেকেই তাদেরকে মূল্যায়ন করা। কিন্তু তা হচ্ছে কই? রানা প্লাজা ট্রাজেডির আগের দিনেই ভবনে ফাটল ধরেছিল এবং মালিকপক্ষ জোর করে শ্রমিকদের কাজে বাধ্য করেছে। এই ভবনে বেশ কয়েকটি গার্মেন্টস ছিল এবং বরাবরের মতই তারা শোষক শ্রেণীর প্রতিনিধি হয়ে শোষণ করে চলেছে দিনকে দিন। এই ট্রাজেডি সংগঠিত হয়েছে বলে আলোচনায় আসছে কাজে বাধ্য করার বিষয়টি। কিন্তু এরকমভাবে হাজারো...
>>

আহ সাভার, উহ সাভার!

25/04/2013 23:35
তোমার পা সরাও মা, তোমার পা সরাও বোন পারছি না আমি আর- আমার নাড়িভুঁড়ি সব বেরিয়ে আসছে মুখ দিয়ে পা'গুলো আজ বোবা করে দেয়, হাওয়ায় আর্তনাদ একটু সরাও, সামান্য খানিকটা- ওখানে বেজেছিলো ঝংকার কোনো আমি কি তবে ঝংকৃত হব আজো; বোবা শব্দে কান্না জলে ভেসে গিয়ে ভাসিয়ে দেব পুরো বঙ্গোপসাগর। মাথায় পা গিজগিজ করে তাই মাথাটা আজ আগ্নেয় লাভা- ব্যর্থতা উদগিরণ হয় কেবল অশাব্য গালাগালে আমি আজ গালি দেব প্রাণখুলে, অসম বিন্যাসি সব মজুরির দামে যেখানে লেনদেন হয় জীবনের দাম। আমি আমাকে গালি দিই; আমি তোমাকে গালি দিই আমার গালি আছড়ে পড়ে রাষ্ট্রযন্ত্রে। আমার গালাগালে নিকুচি হয় রাষ্ট্রযন্ত্র চুতমারানি গালিগুলো ওড়ে যায় উঁচুতলায়, আমার গালি আমাতে ফিরে; আমার গালি আমাকে শুধায় কত চাও, কত নেবে- আমরা আজ বোবাদের ঈশ্বর আমাদের পাড়া শ্মশান ঘাট, আমাদের পাড়া দেবালয় আমাদের পাড়া মসজিদ-মন্দির, আমাদের পাড়া মৃত্যুমুখর আমাদের পাড়ায় নিথর পা,  মগজে নিথর সারা গ্রাম আমাদের পাড়া মৃত্যপুরি; অবাক বিস্ময়ে সাত আসমান! (সাভার রানা প্লাজা দূর্ঘটনায় হতাহত স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা)
>>

চেতনায় ঘুণ ধরে না

08/04/2013 23:21
সময় বদলে অনেকেরই চেতনা বদলায় না। শুধুমাত্র রূপবদলে সামনে আসে লেবাস আর নানা ছল। একাত্তর থেকে ২০১৩ সময়ের ব্যবধান মাত্র ৪২ বছর। মাত্র শব্দটি এখানে আপেক্ষিক। অন্তর্গত অর্থের দিক থেকে মাত্র কেবলমাত্র মাত্রই না! একাত্তরের ঘাতক-দালাল, যুদ্ধাপরাধী, রাজাকার, আলবদর, আলশামস, শান্তিকমিটি নতুন নামে পুরোনোরূপে! অতি অবশ্যই হতাশার! একাত্তর সালে বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামের পরিণতিতে যে মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিল তার নেতৃত্বে ছিল আওয়ামীলীগ। তখন তারা ছিল ক্ষমতার বাইরে, আন্দোলনের মাঠে। আর ২০১৩ সালে এসে এই সময়ে তারা ক্ষমতায়। একাত্তরে যেমন ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের ভারতের চর, ব্রাহ্মণ্যবাদী দালাল, মালাউন, কাফের, ইসলামবিরোধী, দুষ্কৃতিকারী, বিচ্ছিন্নতাবাদী অভিধা। ঠিক একইভাবে এই সময়ে এসে একইভাবে সামনে এসে দাঁড়িয়েছে ফ্যাসিস্ট আর নাস্তিক অভিধা। স্বদেশের স্বাধীন আলো-হাওয়ায় মুক্তচিন্তা বারে বারে পদদলিত হচ্ছে অদ্ভুত মিথ্যাচারভিত্তিক অপপ্রচারের মাধ্যমে। ইসলাম নিয়ে মস্করা করেছিল তখন জামায়াতে ইসলামী, মুসলিম লীগ ও নেজামী ইসলামী নামক কয়েকটি দল। তারা ‘ইসলাম গেল গেল’ রব তুলে সারাদেশের মানুষকে বিভক্ত করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছিল ফলে...
>>

শাহবাগ আন্দোলন: কী-বোর্ড চেপে বিভ্রান্ত করার সুযোগ নাই

01/03/2013 02:02
গণজাগরণ মঞ্চের প্রজন্ম আন্দোলন সারাদেশের মানুষের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বীজকে আবারো উত্থিত করেছে। মুক্তিযুদ্ধের ৪২ বছর পর মানুষ সমূহ ভয়ভীতিকে উপেক্ষা করে কণ্ঠে তুলে নিয়েছে 'তুই রাজাকার" শ্লোগান। দীর্ঘদিনের আওয়ামীলীগের করায়ত্ব করা "জয় বাংলা" শ্লোগান আবারো ফিরে এসেছে জনসাধারণের মাঝে। এখন যে কেউ “জয় বাংলা” শ্লোগানে দিগ্বিদিক কাঁপিয়ে দিলেও কেউ বলবে না আওয়ামীলীগার হয়ে যাওয়ার ব্যাপারটিকে। এটা একটা গুরুত্বপুর্ণ অর্জন। গণজাগরণ মঞ্চের প্রজন্ম আন্দোলন শুরুটা হয়েছিল তীব্র ক্ষোভ আর দাবিকে সামনে নিয়ে। যুদ্ধাপরাধী কসাই কাদের ওরফে কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন রায়ের বিরুদ্ধে তরুণ প্রজন্ম দাঁড়িয়েছিল ঋজু ভঙ্গিমায় প্রতিবাদে-শ্লোগানে। পরবর্তীতে এর সাথে যোগ হয়েছে সারা দেশের মানুষ। শাহবাগ থেকে প্রজন্মের আলো ছড়িয়ে যায় সারাদেশ এবং দেশের বাইরেও। সকল যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি এবং যুদ্ধাপরাধী দল জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধের দাবি জানানো হয়। যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবি জানানোতে অনেকেই বলছেন এটাকে আদালতকে প্রভাবিত করার চেষ্টা হচ্ছে কিন্তু এটা মোটেও আদালতকে প্রভাবিত করা নয়। এই দাবি জানানোর মাধ্যমে প্রশিকিউশনকে আরো...
>>

শাহবাগ আল্টিমেটাম: একটি নির্মোহ ময়নাতদন্ত

26/03/2013 12:24
২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ প্রজন্ম চত্বর, শাহবাগ থেকে সারাদেশের মানুষের দাবিকে সামনে নিয়ে গণজাগরণ মঞ্চ থেকে ঘোষিত হয় ৬দফা দাবি সম্বলিত আল্টিমেটাম। এবং এই দাবি বাস্তবায়নের জন্যে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। গণজাগরণ মঞ্চ আশা করছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দাবিদার সরকার এই গণদাবিকে গুরুত্ব দিয়ে বাস্তবায়ন করবে। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে আশাটুকু আশাবাদের ফাকা বুলির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থেকেছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে জামাত-শিবির নিষিদ্ধকরণ প্রক্রিয়া এবং অন্যান্য দাবিগুলোর বাস্তবায়ন সুদূরপরাহত। যা সত্যিকার অর্থেই একদিকে যেমন লজ্জাজনক ঠিক তেমনিভাবে হতাশাজনকও বটে। কসাই কাদের ওরফে কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে রায়ের অব্যবহিত পর প্রতিবাদে গড়ে ওঠা আন্দোলন একটানা ১৭ দিন চলার পর আল্টিমেটাম এসেছিল। সকল যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির এবং জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে সারাদেশের মানুষ একাট্টা হয়েছিল শাহবাগ আন্দোলনের সাথে। এই আন্দোলন শাহবাগ থেকে শুরু হলেও মুহুর্তে এর রেশ ছড়িয়ে পড়ে সারাদেশে। এমনকি দেশের বাইরেও প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। দীর্ঘ ৪২ বছরের জঞ্জাল সাফ করতে মানুষ নেমে আসে রাস্তায়। দেশের সব শ্রেণীর মানুষের মুখ...
>>

মত প্রকাশের স্বাধীনতা সাংবিধানিক অধিকার

23/03/2013 04:47
হঠাত করে ব্লগ এবং ব্লগার শব্দটি আলোচনায় ওঠে এসেছিল শাহবাগ আন্দোলন শুরুর দিকে। সাধারণ মানুষের কাছে রীতিমত নায়করূপে প্রতিপন্ন হচ্ছিলেন ব্লগারেরা। কারণ দীর্ঘ ৪২ বছরের জঞ্জাল সাফ করতে তারা মাঠে নামে চেতনায় শান দিতে ব্লগার এবং অনলাইন এক্টিভিস্টদের আহ্বানে। সফল এক গণজাগরণ গড়ে ওঠে সারাদেশে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালন করা মানুষেরা ঐক্যবদ্ধ হয় অভিন্ন দাবিতে সব যুদ্ধাপরাধী-রাজাকারের সর্বোচ্চ শাস্তি আর জামায়াত-শিবির নামক বিষবৃক্ষ রাজনৈতিক দলের নিষিদ্ধকরণ। জনগণের এই দাবিতে কোণঠাসা হয়ে পড়ে জামায়াত-শিবির চক্র। ফলে তারা ষড়যন্ত্রের জাল বুনে এবং পরবর্তীতে মোক্ষম আঘাত হানে সাধারণ মানুষের ধর্মানুভূতিকে আশ্রয় করে। আঘাতের শুরুটা হয়েছিল ১৫ ফেব্রুয়ারি ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দারকে হত্যার মাধ্যমে। রাজীবকে হত্যার পর অপপ্রচারের নতুনরূপে আবিষ্কার হয় রাজীব নাস্তিক ছিলেন এবং ইসলাম ধর্ম নিয়ে তিনি নাকি অনেক কুরুচিপূর্ণ পোস্ট করেছিলেন বিভিন্ন ব্লগে। আমার দেশ সহ কয়েকটি জামায়াতি ঘরানার পত্রিকা ‘নুরানী চাপা’ নামক ব্লগের লেখা ছাপিয়ে সারাদেশে এক তুমুল অস্থিরতা সৃষ্টি করে। অথচ তার জীবদ্দশায় ‘নুরানী চাপা’ নামক কোন ব্লগের...
>>

প্রথম আলো ব্লগের সাক্ষাতকারভিত্তিক দ্যা হটসিট

01/01/2013 14:43
ব্লগিং করছি অনেক দিন ধরে। সেই হিসেবে অনেক ব্লগারের সাথে পরিচয় এবং জানাশোনা। প্রথম আলো ব্লগে অনেক দিন ধরে ব্লগিং করেছি, করছি। আলো ব্লগের একটি জনপ্রিয় পোস্ট দ্যা হট সিট। ব্লগার নীল সাধু এই পোস্টের আয়োজন করতেন। এখানে ব্লগারেরা প্রশ্ন করেন এবং অতিথি তার উত্তর দেন। ১০ মার্চ ২০১২ বসেছিলাম আমি। সেই পোস্টের যাবতীয় এখানে:   দ্যা হট সিট ৩৭তম পর্ব - আজকের অতিথি ব্লগার কবির য়াহমদ প্রথম আলো ব্লগ এক অচেনা সুতোর বন্ধন। আমরা অনেকেই হয়ত এখন পর্যন্ত অনেক প্রিয় মুখকেই দেখিনি, কিন্তু ব্লগের সাদা পাতায় কাল অক্ষরে তাকেই মনে হয় কত আপন। তার পোষ্ট পড়ে, মন্তব্য পড়ে আগ্রহ সৃষ্টি হয় প্রিয় সেই মানুষটি সম্পর্কে জানার। যা কোন মতেই হয়ে উঠেনা কারণ ব্লগ ভার্চুয়াল। একেকটি নিকের আড়ালে একেকজন ভিন্ন মানুষ। জানার এই অদম্য আগ্রহের কথা ভেবে প্রিয় ব্লগারকে জানতে, তার কথা শুনতে, তার পছন্দ অপছন্দ, শৈশব কৈশোর, স্বপ্ন আশার এর কথা শুনতে আমাদের এই লাইভ আড্ডার আয়োজন; দ্যা হট সিট~ প্রথম আলো ব্লগের জনপ্রিয় অনুষ্ঠান। আজকের এই পর্বে অতিথি হিসেবে আছেন প্রথম আলো ব্লগের জনপ্রিয় ব্লগার...
>>

পবিত্র কোরআন, মুসলিম পারিবারিক আইন, সংবিধান এবং জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি ২০১১

22/01/2013 14:15
  পবিত্র কোরআন, মুসলিম পারিবারিক আইন, সংবিধান এবং জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি ২০১১ জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি ২০১১ মন্ত্রীসভায় পাস হবার পরে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।  ইসলাম নামধারি এক পক্ষ সরাসরি এর বিরোধিতা করছে, এক পক্ষ পক্ষে রয়েছে এবং আরেক পক্ষ কোন অবস্থানই নিচ্ছেনা অর্থাৎ তাদের কোন বক্তব্যই নেই।  স্বাভাবিকভাবেই ব্যাপারটা নিয়ে সাধারণ মানুষজন বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছে।  আসলে এই নীতিমালায় উল্লেখিত যে দু’টো ধারা নিয়ে এত আলোচনা-সমালোচনা এর কারণই না কি? এটা কি সত্যিকারভাবেই রাজনৈতিক কোন ইস্যু তাও আলোচনার দাবি রাখে।  তার আগে দেখে নেয়া দরকার পবিত্র কোরআন এবং ইসলামী গ্রন্থগুলো, মুসলিম পারিবারিক আইন ১৯৬১ অধুনা নারী উন্নয়ন নীতিমালা এবং বাংলাদেশের সংবিধানের বক্তব্যই বা কি! যদি সমান অধিকারের ব্যাপার নিয়ে বিরোধিতা করতেই হয় তাহলে বাংলাদেশের সংবিধানের কিছু ধারা নিয়েও বিরোধিতা করা উচিত! এবার দেখি বাংলাদেশের সংবিধান কী বলে। বাংলাদেশের সংবিধানে ২৭ অনুচ্ছেদে উল্লেখ আছে যে, সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী। ২৮(২) অনুচ্ছেদ আছে, রাষ্ট্র ও...
>>

আস্তিক-নাস্তিক দ্বন্দ নয় স্রেফ রাজনৈতিক স্বার্থ

22/03/2013 02:34
বেগম খালেদা জিয়া মুন্সীগঞ্জের জনসভায়(১৫ মার্চ ২০১৩) সরাসরি বলে দিলেন শাহবাগিরা “নষ্ট ও নাস্তিক”। তিনি রাজাকারদের বিচার দাবি করা আন্দোলনকারীদের প্রতি সর্বোচ্চ বিষোদ্গার করেছেন। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী শাহবাগি নষ্ট নাস্তিকেরাই! বেগম খালেদা জিয়াকে ধন্যবাদ জানানো উচিত অন্তত যুব সমাজের প্রতি তাঁর মনোভাব বুঝিয়ে দেবার জন্যে। অনেককেই বলতে শুনি, এটা তিনি ঠিক করেননি। কিন্তু আমরা ব্যক্তিগতভাবে ভাবছি অন্য কিছু। আমাদের কাছে মনে হয় তাঁর এই বক্তব্য ঠিকই আছে কারণ একটা তীব্র ধর্মব্যবসায়ী দলের নেতৃত্বে তিনি আছেন এবং এই দলকে টিকিয়ে রাখতে তাঁর এ ধরণের বক্তব্য হয়ত টনিকের মত কাজ করবে! যদিও দেশের প্রায় সবগুলো দলই একই পথের পথিক হয়ে রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার করে আসছে। তাছাড়া তিনি শুধুমাত্রই বিএনপি চেয়ারপার্সনই না, এর সাথে আছেন ১৮ দলীয় ঐক্যজোটের নেত্রী। এই ১৮ দলের মধ্যে নামসর্বস্ব কিছু দল থাকলেও বাকিটা পুরোপুরি একটা ধর্মব্যবসায়ী চক্র! বেগম খালেদা জিয়া রাজাকার আর যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে গড়া তীব্র গণআন্দোলনকে বিপথগামী তরুণদের আন্দোলন বলতেই পারেন কারণ এই তরুণেরা দেশকে...
>>

Items: 1 - 15 of 156

1 | 2 | 3 | 4 | 5 >>

Search site

একটি ব্যক্তিগত ব্লগ। সব দায় এবং দায়িত্ব লেখকের একান্ত নিজস্ব।