মত প্রকাশের স্বাধীনতা সাংবিধানিক অধিকার

23/03/2013 04:47

হঠাত করে ব্লগ এবং ব্লগার শব্দটি আলোচনায় ওঠে এসেছিল শাহবাগ আন্দোলন শুরুর দিকে। সাধারণ মানুষের কাছে রীতিমত নায়করূপে প্রতিপন্ন হচ্ছিলেন ব্লগারেরা। কারণ দীর্ঘ ৪২ বছরের জঞ্জাল সাফ করতে তারা মাঠে নামে চেতনায় শান দিতে ব্লগার এবং অনলাইন এক্টিভিস্টদের আহ্বানে। সফল এক গণজাগরণ গড়ে ওঠে সারাদেশে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালন করা মানুষেরা ঐক্যবদ্ধ হয় অভিন্ন দাবিতে সব যুদ্ধাপরাধী-রাজাকারের সর্বোচ্চ শাস্তি আর জামায়াত-শিবির নামক বিষবৃক্ষ রাজনৈতিক দলের নিষিদ্ধকরণ। জনগণের এই দাবিতে কোণঠাসা হয়ে পড়ে জামায়াত-শিবির চক্র। ফলে তারা ষড়যন্ত্রের জাল বুনে এবং পরবর্তীতে মোক্ষম আঘাত হানে সাধারণ মানুষের ধর্মানুভূতিকে আশ্রয় করে।

আঘাতের শুরুটা হয়েছিল ১৫ ফেব্রুয়ারি ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দারকে হত্যার মাধ্যমে। রাজীবকে হত্যার পর অপপ্রচারের নতুনরূপে আবিষ্কার হয় রাজীব নাস্তিক ছিলেন এবং ইসলাম ধর্ম নিয়ে তিনি নাকি অনেক কুরুচিপূর্ণ পোস্ট করেছিলেন বিভিন্ন ব্লগে। আমার দেশ সহ কয়েকটি জামায়াতি ঘরানার পত্রিকা ‘নুরানী চাপা’ নামক ব্লগের লেখা ছাপিয়ে সারাদেশে এক তুমুল অস্থিরতা সৃষ্টি করে। অথচ তার জীবদ্দশায় ‘নুরানী চাপা’ নামক কোন ব্লগের অস্তিত্ব কেউ পেয়েছিল কিনা জানা নাই।  এমনকি কিছু অনলাইন বিশেষজ্ঞ অভিমত ব্যক্ত করেছিলেন উল্লেখিত ব্লগটিতে ট্রাফিক শুরুর তারিখ ১৫ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ রাজীবের মৃত্যুর দিন। এবং একই দিনে একাধিক পোস্ট ও কমেন্ট করা হয় পেছনের তারিখে(ব্যাকডেট)। অনেকেরই বিষয়টি অজানা থাকার কথা নয় যে, ওয়ার্ডপ্রেসে পেছনের তারিখ দিয়ে ব্লগে পোস্ট করা যায় এবং সেই সাথে মন্তব্যের ক্ষেত্রেও একই পন্থা অবলম্বন করা যায়। ইসলাম ধর্মকে অপমান করে লিখিত লেখা এই অজুহাতে ২২ ফেব্রুয়ারি নজিরবিহীন সন্ত্রাস সংঘঠিত হয়। যার অগ্রভাগে ছিল জামায়াত-শিবির বলে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় খবর বেরিয়েছিল। ইসলাম রক্ষার মিশন(!) নিয়ে নামা সে লোকগুলো জঙ্গিরূপে হামলে পড়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় স্থাপিত গণজাগরণ মঞ্চ, শহীদ মিনারে নজিরবিহীনভাবে ভাংচুর ও হামলা চালায়। কয়েকটি জায়গায় ছিঁড়ে ফেলে আমাদের গৌরবের জাতীয় পতাকা।

ফলে হঠাত করে অপপ্রচারের মাধ্যমে দৃশ্যপট পাল্টে ব্লগারেরা মোটাদাগে হয়ে যান ধর্মবিদ্বেষী এবং নাস্তিক। জামায়াত-শিবিরের মিডিয়া,জামায়াতসহ ইসলামী দলগুলো এবং বিএনপি খুব করে প্রচার করে সারাদেশে। বিএনপি চেয়ারপার্সন শাহবাগের আন্দোলনকারীদের ‘নষ্ট এবং নাস্তিক’ আখ্যা দেন। তার এই ঘোষণা লুফে নেয় মৌলবাদীরা। ধর্মাশ্রয়ী দলগুলো ব্লগারদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা শুরু করে। ধর্ম বিশেষ করে ইসলামের বিপক্ষ শক্তি বলে আখ্যা পায় ব্লগারেরা। এমতাবস্থায় ব্লগ এবং অনলাইনে বিশেষ করে ফেসবুকে কিছুটা হতাশ পড়ে পড়েন ব্লগার এবং অনলাইন এক্টিভিস্টদের একটা অংশ। অনেকেই আবার নিজেদেরকে আস্তিক প্রমাণের জন্যে উঠেপড়ে লাগেন। এই সুযোগে অপপ্রচারকারী নিজেদেরকে সংঘঠিত করতে সমর্থ হয়। তাদের অব্যাহত চাপে সরকার ধর্মবিরোধী ব্লগারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে একটা কমিটি গঠন করে। প্রথম দিকে মৌলবাদী গোষ্ঠীগুলো সরকারের এই কমিটিকে প্রত্যাখ্যান করলেও প্রকৃত অর্থে এটা ছিল তাদের কৌশল এবং প্রাথমিক বিজয়। কারণ মুক্তমতকে রুদ্ধ করতে সরকারের এই পদক্ষেপ যে ভবিষ্যতে মুক্তমনা ব্লগারদের জন্যে বুমেরাং হবে তা কমিটি গঠনের অব্যবহিত পর না বুঝলেও পরবর্তীতে প্রমাণ হবে।

ইতোমধ্যে বিটিআরসি কয়েকটি ব্লগকে চিঠি দিয়ে কয়েকজন ব্লগারের ব্লগ বন্ধ করে নির্দিষ্ট কয়েকজন ব্লগারের আইপি এড্রেস, ইমেইল, মোবাইল নাম্বার এবং ঠিকানা চেয়ে কয়েকটি ব্লগকে চিঠি দিয়েছে। সামহোয়্যার ইন ব্লগ কিছু ব্লগারের বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু বাঁধ সেধেছে আমার ব্লগ ডট কম। তারা স্বাভাবিকভাবেই বিটিআরসি’র এই নির্দেশনার বিপরিতে দাঁড়িয়ে বলেছে, বাক স্বাধীনতা রক্ষায় দায়বদ্ধ থেকে এই অন্যায় নির্দেশনা মানবে না। কারণ আন্তর্জাতিক প্রাইভেসি আইন অনুযায়ী কোন ব্লগারের আইপি অ্যাড্রেস, লোকেশন, ইমেইল, মোবাইল নম্বর এবং ব্যক্তিগত নাম প্রকাশ করা উচিত নয়। আমার ব্লগ ডট কমের এই সিদ্ধান্ত সত্যিকার অর্থেই বাংলা ব্লগ সংস্কৃতিকে অনেক উচ্চে স্থান দেয় এবং কপিরাইট আইন অনুযায়ি ব্লগের লেখার স্বত্ব যে কেবল একান্তই লেখকের এই আইনকেও প্রতিনিধিত্ব করে। বিটিআরসি’র এই অন্যায় আবদার ও নির্দেশনা আমাদের সংবিধান এবং মানবাধিকারের বিশ্বজনীন ঘোষণাপত্রে বর্ণিত বাক স্বাধীনতার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। ১৯৪৮ সালে গৃহীত Universal Declaration of Human Rights এর আর্টিকেল ১৯ এ রয়েছে-Everyone has the right to freedom of opinion and expression; this right includes freedom to hold opinions without interference and to seek, receive and impart information and ideas through any media and regardless of frontiers. এই ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশকেও বাক এবং ব্যক্তির স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দিতে হবে। অনুরূপভাবে International Covenant on Civil and Political Rights (ICCPR) এর আর্টিকেল ১৯ ও কথাবলার অধিকারকে স্বীকৃতি দিয়েছে। "the right to hold opinions without interference. Everyone shall have the right to freedom of expression".  এ গেলো বিদেশি আইনের কথা। আমাদের সংবিধান ব্যক্তির মতপ্রকাশ এবং বাক স্বাধীনতাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে। সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা এবং বাক স্বাধীনতা প্রসঙ্গে লেখা আছে এভাবে-“Freedom of thought and conscience is guaranteed” (চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতার নিশ্চয়তাদান করা হইলো)। সংবিধানের ৩৯(২) অনুচ্ছেদে আছে-“Subject to any reasonable restrictions imposed by law in the interests of the security of the State, friendly relations with foreign relations with foreign states, public order, desency or morality, or in relation to contempt of court, defamation or incitement to an offence-
(a) the right of every citizen to freedom of speech and expression
( b) freedom of press are guaranteed.


রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, বিদেশী রাষ্ট্রসমূহের সহিত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, জনশৃঙ্খলঅ, শালীনতা বা নৈতিকতার স্বার্থে কিংবা আদালত-অবমাননা, মানহানী বা অপরাধ, সংগঠনে প্ররোচনা সম্পর্কে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসঙ্গত বাধানিষেধ সাপেক্ষে-
(ক) প্রত্যেক নাগরিকের বাক ও ভাব প্রকাশের স্বাধীনতার অধিকারের,
(খ) সংবাদপত্রের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দান করা হলো।

অর্থাৎ অন্য কোন আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত না হলে ব্যক্তিকে তার জীবন ও ব্যক্তি-স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত করার কোন সুযোগ নাই। কিন্তু বিটিআরসি’র এই নির্দেশনা কোন আইনবলে এবং কিভাবে তারা ব্লগ কর্তৃপক্ষকে বলতে পারে কোন ব্লগারের লেখা মুছে দেবার এবং ব্লগারের ব্যক্তিগত তথ্য অন্য কারো কাছে প্রকাশ করার। এটাই সবিশেষ আশ্চর্যের যে সরকারী প্রতিষ্ঠান অবলীলায় সংবিধানে স্বীকৃত নাগরিক বাক স্বাধীনতার প্রতি অযথা হস্তক্ষেপ করে।

বাংলা ব্লগের ইতিহাস খুব বেশীদিন না হলেও ইতোমধ্যেই বাংলা ব্লগ একটি বিকল্প মিডিয়া হিসেবে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠা করতে কিছু ভূমিকা পালন করে চলেছে। ব্লগ শুধুমাত্রই কিছু মানুষের দিনলিপি লিখার ক্ষেত্র হয়ে উঠেনি। ব্লগ থেকে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে গবেষণা হচ্ছে, সামাজিক-সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে। এই সময়ের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দাবি যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি নিয়ে সারাদেশে এক অভূতপূর্ব গণজাগরণ আন্দোলন গড়ে তুলেছে এই ব্লগার এবং অনলাইন এক্টিভিস্টরাই। সুতরাং একে খাটো করে দেখার কোন সুযোগ নেই। এই ব্লগ আন্দোলন সরাসরিভাবে মৌলবাদী এবং যুদ্ধাপরাধী জামায়াত-শিবিরের বিপক্ষে যাচ্ছে বলে তাদের এ নিয়ে উষ্মা থাকতে পারে কিন্তু সরকার কেন মুক্তমত রুদ্ধ করতে চায় এ নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। বাস্তব অবস্থা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় সরকারের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা কিছু সুযোগসন্ধানী যাদের অনলাইন সম্পর্কে কোন ধারণাই নেই তারাও একইভাবে ব্লগারদেরকে নাস্তিক কিংবা ইসলামবিদ্বেষী মনে করে। তারা কোন প্রকার অনুসন্ধান না করে ব্লগারদের মুখ বন্ধ করে দিতে চায়। তাদের লক্ষ্য আসলে মৌলবাদী শক্তিকে ভোটের হিসেবে নিজের পক্ষে নিয়ে আসা। আমাদের ইতিহাস বলছে বর্তমানে যারা ব্লগারদের বিরোধিতায় নেমেছে তারা সত্যাসত্য মৌলবাদী ধ্যানধারণা নিয়েই বেড়ে ওঠা। তারা আগেও আওয়ামীলীগের পক্ষে ছিল না এবং আগামীতেও আসবে না। সব সময়েই এরা এন্টি আওয়ামীলীগার হিসেবে কাজ করে। তাদেরকে খুশি করে রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্যে আওয়ামীলীগ সরকার ব্লগারদের বিরুদ্ধে নেমেছে। শাহবাগ আন্দোলন সারাদেশের মধ্যে তুমুল সাড়া ফেলার পর বর্তমান আয়ামীলীগ সরকার মনে করছে শাহবাগের আন্দোলনের সাথে যারাই সংশ্লিষ্ট তারা একবাক্যে আওয়ামীলীগের সমর্থক হয়ে গেছে। সরকারের এই ভুল ধারণা এবং ব্লগারদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ তাদেরকে যে চড়ামূল্য দিতে হবে তা কে বুঝাবে?

ধর্মের বিরুদ্ধে কেউ যদি লিখে তাহলে সেখানে ধর্মের কোন ক্ষতি হয় না। ব্যক্তি মানুষের এত ক্ষমতা নেই যে সামান্য লেখালেখির কারণে ধর্ম ধ্বংস হয়ে যাবে। ইসলাম ধর্মমতে আল্লাহ নিজেই  ইসলামকে রক্ষা করেন। যারা ধর্ম নিয়ে লেখাপড়া করেন তারা নিশ্চয়ই অনুধাবন করতে পারেন ইসলাম এত ঠুনকো বিষয় নয় যে কিছু মানুষের বিরোধিতার কারণে তা নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে! এটা ঠিক কিছু লেখক/ব্লগার ধর্ম নিয়ে তাদের ভিন্নমত প্রকাশ করে থাকেন। যৌক্তিক যে কোন আলোচনা চলতে পারে। এতে করে মানুষের মধ্যে ধর্ম সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে। মানুষ সচেতনভাবে ধর্ম পালনে মনোযোগি হবে। কিন্তু ধর্মের সমালোচনার নামে ধর্ম নিয়ে কটূক্তি অনাকাঙ্ক্ষিত। ধর্ম পালন যেমন মানুষের ব্যক্তিক স্বাধীনতার মধ্যে পড়ে ঠিক তেমনিভাবে না পালন করাটাও দোষের কিছু না। তবে ধর্ম পালন না করার অর্থ এই নয় যে কটূক্তি করতে হবে। বিষয়টি একান্তই নির্ভর করে সমালোচনাকারিদের যোগ্যতা এবং মানের ওপর। যোগ্য ও মানসম্পন্ন লোকেরা কেবল সমালোচনার সময়ে কটূক্তি করে না। এর বাইরে যারা তারা মানের দিক থেকে কোন প্রত্যাশিত লেবেলের কেউ নয়। ইদানিংকার ফেসবুক এবং ব্লগের যারা নিজেদেরকে নাস্তিক দাবি করে তাদের অনেকেই চিন্তা-চেতনায় মোটেও নাস্তিক না।  তাদের অনেকেই নাস্তিকতাকে ফ্যাশন হিসেবে মনে করে। ফলে ঢালাও কটূক্তি করতে বসে যে কোন বিষয়ে। যুক্তির চাইতে আক্রমণ মুখ্য হয়ে যায়। অথচ একটু খেয়াল করলে দেখা যায়, আমাদের দেশের নাস্তিক বলে পরিচিত আহমদ শরীফ, হুমায়ুন আজাদ, আরজ আলী মাতুব্বর তারা বিশ্বাসী ছিলেন না কিন্তু লেখালেখির কোন পর্যায়েই ধর্মকে নোংরাভাবে সমালোচনা করেননি। তারা উদাহরণ হতে পারতেন হালের ফ্যাশনদুরস্ত নাস্তিকদের কাছে। বাস্তবতা তা হয়েছে উল্টোভাবে। ভুল চিন্তায় যদি হাল আমলের নাস্তিকেরা হেঁটে চলে তবে হতাশই হতে হয়।

ফ্যাশনদুরস্ত এই নাস্তিকদের সংখ্যা হাতে গোণা। তাদের মত-মতামত নিয়ে লিখছেন কিন্তু কোন মতাদর্শ দাঁড় করাতে পারেননি। এতে করে কেউ কি লাভবান হয়েছে তা হয়ত সময়ই বলে দেবে। সুস্থ আলোচনা হতে পারে যে কোন বিষয়ে। এতে করে যৌক্তিক আলোচনার দ্বার উন্মুক্ত হতে পারত। আমি ব্যক্তিগতভাবে একজন বিশ্বাসী তবে যারা বিশ্বাসী নন তাদের মত-মতামতকেও সম্মান করি। বিশ্বাসী হলেও অবিশ্বাসীদের কণ্ঠ বন্ধ করে দেবার যে কোন পদক্ষেপকেই নিন্দা জানাই। সেই সাথে আশা করি কটূক্তি নয় গঠনমূলক আলোচনা। কটূক্তিকে পুঁজি করে অন্ধকারের পূজারিরা সুযোগ খুঁজে আঘাত হানবে এবং তা বার বার উদ্ধৃত হবে মোটাদাগে সবাইকে একই দলভুক্ত করে দিতে।

ব্লগারদেরকে নাস্তিক ও ইসলামবিরোধী আখ্যা দিয়ে শাহবাগ আন্দোলনকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করার লোকের অভাব নেই। দৈনিক আমার দেশ,সংগ্রাম,নয়াদিগন্ত,ইনকিলাব পত্রিকা অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে একতরফাভাবে। দেশের সুস্থ চিন্তার মানুষ এ নিয়ে উদ্বিগ্ন না হলেও সরকার ভুলভাবে ভুল জায়গায় আঘাত করছে। যা আমাদের সংবিধান এবং সার্বজনীন মানবাধিকারের ঘোষণাপত্রের সাথে সরাসরি সাংঘর্ষিক।

ব্লগ মুক্ত মাধ্যম। এখানে ব্লগারেরা তাদের মুক্তচিন্তার প্রকাশ করবে-এই স্বাভাবিক। সরকারের কাছে ব্লগারদের আগে থেকে জেনে নিতে হবে না তারা কি লিখবে আর কি লিখবে না! আমাদের সংবিধান যেখানে বাক ও চিন্তার স্বাধীনতা দিয়েছে সেখানে সরকারের ক্ষমতা আছে কি তাকে রুখার?

Back

Search site

একটি ব্যক্তিগত ব্লগ। সব দায় এবং দায়িত্ব লেখকের একান্ত নিজস্ব।