Blog

তুমি আসবে!

19/07/2012 10:10
  জেনেছিলাম তুমি আসবে, তাই সকালের রোদকে ছুটি দিয়েছিলাম আলতো কর দুপুরকে আহ্বান জানিয়েছিলাম নিজের মতো করে থমকে দাঁড়ানো সময়টাকে দাঁড় করেছিলাম তোমার অপেক্ষায়!   তুমি আসবে, তাই গতরাতে নামেনি জোছনামালা চাঁদও দাড়িয়েছিল ঠায়, ভুল করে যদি ছড়াতে যায় সমূহ আলো। তোমার অপেক্ষায় কাটিয়েছিল নিশাচর পাখি ফলতঃ গতরাতে সে বাঁধেনি কোন সুর বাঁশবনে লাগেনি কোন মৃদু-মন্দ হাওয়া ঠায় দাঁড়ানো আর সবেও জেনেছিল তোমার আগমনী গান।   তুমি আসবে, তাই অদ্য ভোর- ভোর হয়েছে আগে-ভাগেই তোমাকে ঘিরে থাকা আমার বাগানে আজ ফুটেছে হাসনাহেনা ফুল তুমি আসবে, তুমি আসবে, তুমি আসবে বলে কুণ্ডলী পাঁকানো মগজেও খুলেছে সমূহ জট।   তুমি আসবে বলেই নিশ-পিশ করা শিখে গেছে তোমার ছুঁয়ে দেয়া আমার এই হাত।  
>>

বহতা

19/07/2012 22:36
  দেখে দেখে বেলা যায় অবেলায় পথচলতি যে পথিক গোণে দেখেনি সাত-সতেরো এ নিয়ে বিস্মৃতজন বাক্যবাণ ছুঁড়ে- নিজেও ফি বার দেয়ালে তুলে নবজন্মের বর্ষপঞ্জিকা; এ সুরমার ঘোলাজল চুল খোলে ভাবতে বসে সেই কবে প্রসব করেছিল চকচকে নীল। গতরাতে স্বপ্নদেখে জংধরা পিলার ভোরের খানিক আগে জেগে ওঠে হা করে বসে সূর্যপানে অমৃতসন্ধানে; কে কবে ভেবেছে খসানো পলোস্তারাতেও প্রাণজ সাম্পানের ঢেউ লেগেছে- শুয়েছিল যে সেও ওঠে বসে বসা ছিল যে সেও খাঁড়া হয় ঋজুভঙ্গিমায় পাতা থেকে পাখি, ঘাস থেকে হাঁস আঙ্গুল গোণে                 সুরমায় গড়াবে জল নীলাভ নিষ্কলুষ।   
>>

কাশবনের গান

18/07/2012 23:36
  আমাকে আষ্টেপৃষ্টে বেঁধে রেখেছে কাশবন হাত-পা-নখ সব ছুঁয়েছে পরম মমতায়  স্বভাবত আমি দিকহারা মোহাবিষ্টজন সামনে-পিছনে,চারদিকে অজানিত কূহক তাই শুভ্রতা ভালোবাসার পিঠে সওয়ার হয়, আমিও- না, এ কোন আতংকিত পাঠ নয় কিংবা আচানক কিছু আমাদের অগ্রন্থিত ঘটনাগুলো রোজই একই সূঁতোয় গাথা হবে আমরা অতিশয় আন্তরিক বলে প্রকৃতির শরীরে পড়বে না কোনো সম্পূরক চিহ্ন আমরা বাতাসের কুটুরিতে চুমু খাবো খুব বেশি কিছু হলে খুলে দেবো হৃদয়জ দ্বার নিবিড় ভালোবাসার সারথী হয়ে জ্বালাবো                              সন্ধ্যের স্বপ্নালু চোখ!  
>>

পা

17/07/2012 21:48
  একটা  পা আরেকটা পা’র খুব আপন সচরাচর আমন্ত্রণ জানায় পথে নামার পা'গুলো পথে নামে পা'দের সাথে তারপর দিন-রাতের কোন এক সময়ে রঙিন প্রজাপতি হয় যুগল পা রূপে।   দুইটা পা মাঝে মাঝে একান্ত সময়ে মিলিত হয় একান্তজনের- মাটি ছেড়ে আকাশমূখি হয়ে যায় নিঃশ্বাসের বাষ্পরূপ নিবন্ধন করে রাখে এক নিরীহ ছাঁরপোকা।   এক জোড়া পা'তে নূপুরের ঝংকার এ এক আয়েশি কল্লোল সমুদ্র গর্জনে আমার গরীব পা'গুলো অপেক্ষায় থাকে সতত, ভ্রম হয়, ভ্রম কাটে- মনে হয় শির হয়ে আকাশ পানে উঁচিয়ে রাখি তার পা!  
>>

আকাশ

17/07/2012 07:27
  যাকে বলে ইতিহাস তার কাছ থেকে কেউ কী আর শিক্ষা নিতে জানে তবু ইতিহাস তার মতো করে বয়ে চলে ক্রমশঃ আমাদের কালে যাকে তুমি অবলীলায় ধরাকে সরা জ্ঞানে দূরে ঠেলে দিচ্ছো  ভাঙা গলায় যে মিথ্যাকে সত্য বলে ফলাও করে যাচ্ছো নিয়ত মনে রেখো একদিন আর সবার কাছ থেকে আমিও খুলো দেবো দখিনা দ্বার সে সময়ে এক পশলা মিষ্টি হাওয়ায় আমিও জড়িয়ে নেবো আমার আমিত্বকে যদিও হয়ে যাবো দূরের পাখি, দূর আকাশে নয় কাছের আকাশের, হাত দিয়ে ছুঁয়ে দেয়া আকাশের।    এ আকাশ আমার একান্ত আকাশ, এখানে উৎপত্তি হয়না কোন ঝড়ের এখানে জড়িয়ে থাকে কিছু ভালোবাসা; একান্তই ভালোবাসা!
>>

পরী

15/07/2012 00:03
  সব ঠিক ছিল শুধু ছিল না তোমার বেণী করার ধরণ তাই আলগোছে কিছু চুল বাঁধিয়ে দিয়ে যেত সমূহ জঞ্জাল একদিন যদি ভাল করে জেনে যেতে বেণীর ছলাকলা তবে চুলগুলো বেঁধে রাখতে নিজের করে; সে উড়তে জানতো না আর অথচ জেনে রেখো এখানের কিছু নিমগ্ন দর্শক চায়নি কভু তুমিও জেনে যাও গায়ের আলতা মেয়ের বেণী করে বেঁধে রাখা চুল!   দোহাই তোমার, যেভাবে আছো সেভাবেই থাকো তোমাকে হতে হবেনা আর আলতা মেয়ে কিংবা বেণীওয়ালা পরী! 
>>

দেয়াল

14/07/2012 22:26
চোখ খুললেই অবয়ব ভাসে অবশ্য ঝাপসা খানিক দুরত্বের একরোদ পাড়ি দিলে যে বেলা যায় তার পিছু নিলে তোমার ভেংচিতে থেমে যায় পথ। অতিশয় মুখোমুখি আমাদের বাস অথচ মাঝখানে বায়বীয় দেয়াল দুরত্ব-বিরক্তির উৎসমুখ। তোমাকে ছুঁতে চাইলে হাত কাঁপে অলীকতা পাখা মেলে প্রাণান্ত চেষ্টায় অফুরান হাসে প্রকৃতি, বিন্দু সমষ্টির ওপারে তোমার অবস্থান হয়তো প্রারম্ভিকতার সোনাঝরা দিন আদিতে নিবিষ্ট প্রাণ এক অন্তর্হিত আকর্ষণ আর আলোচ্ছটা পাঁজর ভাঙে সমুদ্রের ফেনীল রহস্য। না বলা কিছু কথা পিছু নিলে সলাজ হয় সত্ত্বা পরিপার্শ্ব হাঁ করে গিলতে চায় সব কে জানে কী প্রত্যুত্তর অপেক্ষায় থাকে তারচে' ভালো নির্বাকই থাকি অন্তঃস্থ ভালোবাসা অন্তরেই নিরাপদ।
>>

গন্তব্য

14/07/2012 19:59
  আর কত বৃথা মনোরথে গাঁয়ে জড়াবে শাল আজন্ম স্বপ্নের এমন মৃত্যু কিভাবে দেখবে স্বপ্নরাষ্ট্র মানুষ হয়েও কেন হবে চাতকরূপী তবে কী কোন পূর্বপুরুষী পাপধারিত তুমি! এই দীক্ষাজল খসে পড়ে আবিষ্ট প্রাণের উল্লাসে তবে কী তুমি নদী? ছল ছল রবে মুগ্ধ করো প্রকৃতি বর্ষায় কুল ছাপিয়ে দেখাও ঋতুবর্তী রূপ সমৃদ্ধ মৌচাকে সঞ্চিত মধু? যা জিহ্বামূলে অনুরণন তুলে না কী ঘাসের ঢগায় জমানো শরতের শুভ্রতা হেমন্তের সৃষ্টিসুখ, গ্রীষ্মের দাবদাহ, লজ্জ্বাবতী শীত মগ্ন বর্ষা অথবা বাসন্তী সৌন্দর্য!   আমি তোমায় খুঁজেছি খুব মাছরাঙার ঠোঁটে, মরা নদীতে অথবা প্রমত্তা সাগরে জিজ্ঞাস্যনেত্রে তাকিয়েছি নিসর্গে অথচ সব নিরুত্তর যেন আজন্ম বোবাদের মর্ত্যালোক ভ্রমণ! তুমি দেখে নাও জানালার কপাট, ঠিক আগের মত আমি দূর থেকে অনুভব করি চেনা গন্ধ আচমকা বাতাস আমাকে উদ্বেল করে চোখ বন্ধ করে নিয়ে আসে সেই কেন্দ্রবৃত্তে, তাই আমি বৃত্ত ভাঙি, বৃত্ত গড়ি উপলব্ধির দরোজায় অসাড় মাঠ দেখি যা কী না দ্রুতবেগে ছুটে আসে চেনা গন্তব্যে; অচেনা গন্তব্যে।  
>>

দীর্ঘশ্বাস

14/07/2012 19:22
  ভূল করে যদি চলে আসো এতোটুকু পথ পথটা জেনো ভুল করেনি এত্তোটুকু সে আপনা থেকেই বিলিয়েছে তার অফুরান ওম যে দৃষ্টি এতদিনে ছিল অজানিত এক অদ্য সেও পড়তে জেনে গেছে অন্তজভাষা তাই রোজ রোজ যত কাথাসেলাই আমাকে নিয়ে আমার ঠিক ততখানি কাছে আসা হয়ে যায় একান্তে।   শহরবাসী ইদানিং দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে খুব স্বভাব তুমি ব্যতিক্রম হবে কেন তুমি যখন ভাবতে যাও আমাকে নিয়ে আমি দীর্ঘশ্বাস হয়ে বেরিয়ে আসি তোমা থেকে দীর্ঘ এই দীর্ঘশ্বাসের আর একটা সাকো পাড়ি দিলে তুমি যদি হও আনতনেত্র আমি তবে ঘাসফড়িং হবো তোমার পায়ে দলিত ঘাসে সবিস্ময় দৃষ্টি নিবদ্ধ করে দেখতে যাবো অজানিত সব যে বিষন্ন বাতাস ওড়িয়ে নিতে যায় বিপন্ন শাল তাকে সবান্ধব নেমন্ত্রণ করে নিয়ে আসবো ফের এক নিঃশ্বাসে সে ঝেড়ে ফেলবে সে সমূহ অপ্রাপ্তি ভাঙা হবে তোমাতে-আমাতে একাকারের সিড়ি রচিত হবে আর একটা সোনাঝরা বিকেলের পাঠ।
>>

স্মরণসভায় সবার আমন্ত্রণ

14/07/2012 19:21
  যে যায় সে চলেই যায় যেতে যেতে পথে রেখে যায় খানিক দাগ দাগের ওপর উকি মারে কতক ফলক পথচলতিরা দেখবে বলে- পথচলতি লাখো মানুষ নিত্য নামে পথে কেউ তাদের কোনকালে রাখেনি স্মরণ আমিও পথে নামি লাখোজনের কোন একজন হয়ে মিশে যাই ভীড়ে ভীড় আমাকে ঠেলে আমি ঠেলি ভীড়ের গতর হারিয়ে পড়ি ভীড়ের ভীড়ে স্বাগতিক ব্যানার-পোষ্টার ডেকে যায় চুপিসারে আমি ডাক শোনেও বধির সাজি পথে নেমে পথের হিসেব কষে মনে মনে বলি- বড়ো ভালো এই লোকের স্মরণসভায় আমারও যাওয়া উচিত ছিল!
>>

প্রলাপ

14/07/2012 19:20
  মেয়েটি মেয়ে বলে খানিক 'প্রায়োরিটি' তার প্রাপ্য। অন্যদের মতো মানুষ হলে 'লেডিস ফাস্ট' শ্লোগানের মজা লুটতো না। মুটে মজুর....অফিস পাড়ার বস এমনকি ঈশ্বরও খানিক পক্ষপাতদুষ্ট। নইলে সমঅধিকার মুখ থুবড়ে পড়বে কেন বিশেষ অধিকারের পায়ের তলায় আর সবটুকু নিষিদ্ধ সুন্দরে মসৃণতা প্রদান কোন যুক্তিতে?   মাঝে মাঝে কল্পলোকের ব্যর্থতা মাথা চাড়া দেয়। অভিসম্পাত ছুঁড়ি বাতাসে, বাইশ জোড়া ক্রোমোজম বাদ যায় না। দুঃসাহসিকতার সংজ্ঞা খুজি নতুনত্বে,খড়গ ঘোরে মাথা থেকে মাথা। নিজকে আড়াল করি ভাবনার অতল নীলে।   মরা সুরমায় ঢেঊ দেখি একান্তে,সাহস হয়না পা বাড়াবার..........     *** রাত আর ঘুমের কৃষ্ণপাঠ (২০০৮) থেকে।
>>

বহতা

14/07/2012 19:18
  দেখে দেখে বেলা যায় অবেলায় পথচলতি যে পথিক গোণে দেখেনি সাত-সতেরো এ নিয়ে বিস্মৃতজন বাক্যবাণ ছুঁড়ে- নিজেও ফি বার দেয়ালে তুলে নবজন্মের বর্ষপঞ্জিকা; এ সুরমার ঘোলাজল চুল খোলে ভাবতে বসে সেই কবে প্রসব করেছিল চকচকে নীল। গতরাতে স্বপ্নদেখে জংধরা পিলার ভোরের খানিক আগে জেগে ওঠে হা করে বসে সূর্যপানে অমৃতসন্ধানে; কে কবে ভেবেছে খসানো পলোস্তারাতেও প্রাণজ সাম্পানের ঢেউ লেগেছে- শুয়েছিল যে সেও ওঠে বসে বসা ছিল যে সেও খাঁড়া হয় ঋজুভঙ্গিমায় পাতা থেকে পাখি, ঘাস থেকে হাঁস আঙ্গুল গোণে সুরমায় গড়াবে জল নীলাভ নিষ্কলুষ।     *** রাত আর ঘুমের কৃষ্ণপাঠ (২০০৮) থেকে।
>>

আশ্রয়

14/07/2012 19:16
  হাসিনি সেদিন বলে আজো মুখে নেই হাসি জরা খরা পীড়া ক্রমবর্ধমান দুঃখ রাশি রাশি অপুষ্ট দেহ পথের বাঁকে জীর্ণ শীর্ণ হাত রৌদ্রতাপে তামাটে রঙ আর ক্ষিধে প্রাণপাত।   অতিকায় শ্বাপদ ঘরে বাইরে গিলে ফেলে সবি আত্মত্যাগ যখন বাতিলের খাতায় গুমরে কাঁদে কবি প্রতিবাদি যুবকন্ঠ দূর্বল ভেবে আশ্রয় খোঁজে ঘরে দখিনা হাওয়ায় মাতম ওঠে ঢেউ খেলে চরাচরে।   কান্নার রোল দেখেছি শুধু হাসিনি প্রাণ খোলে দুঃখগাঁথার কবর দিয়েছি গিয়েছি সব ভুলে চেতনার মুক্তি দেব বলে নিয়েছি শপথ এক আমি থেকে আমরা আজ হয়ে যাবো প্রত্যেক।   স্মৃতির সৌধ আকাশমূখি মনের মুকুরে, ব্যথিত সময় আশ্রয় নে' মজা পুকুরে।   *** রাত আর ঘুমের কৃষ্ণপাঠ (২০০৮) থেকে।
>>

দৃশ্যের অন্তরালে দৃশ্যহাট

14/07/2012 19:02
  আর একটু পথ পাড়ি দিলে আমি পেয়ে যাবো তোমার বাড়ি যাবার পথ। এই পথ কোন এক অলুক্ষণে পথ। যে পথের শুরু আছে কিন্তু শেষটা অজানাই। এই পথ, সেই পথ, কত পথ কত পথ যে এভাবে পাড়ি দিলাম তার হিসেব রাখিনি বলে আমার নিয়ত পথচলা। পথের বাঁকে বাঁকে এসে পথ খুজি, পথ দেখি অথচ প্রকৃত পথের সন্ধান কোথা সে আমার যেমন অজানা ঠিক তেমনিভাবে আর সব পথচলতি পথিকেরও।     মনে পড়ে সেদিন কোন এক বিকেলে বিকেল নেমেছিল পৃথিবীতে। তোমার সাথে আমার দেখা হবার নির্ধারিত সময়। আমি মোটরসাইকেল করে এসেছিলাম আর তুমি এসেছিলে বাসে করে। বাসকে তুমি ‘বাচ’ বলো। এটা আঞ্চলিকতার প্রভাব হতে পারে। এ নিয়ে তোমার সাথে আমার কত যে খুনসুটি! আমি আমার প্রেমিকা নিয়ে কোনদিন কারো সামনে বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে চাইনি বলে আজ এ পর্যন্ত বারবার তোমাকে সতর্ক করেছিলাম কিন্তু তুমি তা মানার কোন গরজই দেখাওনি। কেন কী হয় তোমার একটু-আধটু প্রমিত বাংলায় কথা বললে। অথচ তোমার এক কথা এই শহর ঢাকা শহর, এখানে মানুষ দিনকে দিন যন্ত্র হয়ে যাচ্ছে। এই তুমিও যন্ত্র হয়ে যাচ্ছো। কথা বলছো শুদ্ধ বাংলায়। তোমারও অনেক উচ্চারণগত ভুল আছে। কই তুমি কী আর আটকে গেছো জীবন...
>>

জন্মবৃত্তান্ত

14/07/2012 23:01
  দৃশ্যত জন্মের আগে আদিতে জন্মেছি একবার যখন ভ্রুণ ছিল ভ্রুণের ভেতর ক্রোমোজম ছিল কল্পগহ্বরে যখন ছিলনা পূর্বপু্রুষের উত্তরপুরুষী ধর্ম।   সে ইতিহাস ছিল ইতিহাসাশ্রয়ে হাড়-মাংসকালের অনেক আগে জলসৃষ্টির সুদূর অতীতে বিশ্ব আর পৃথিবী জন্মের আরো আগে তখন কেউ ছিল- তখন কেউ ছিল না; অ্যাডাম-ঈভও।   আমি জন্মেছি কালপ্রারম্ভক্ষণে মেঘ-বৃষ্টিকে পেছনে নিয়ে আকাশ-পাতাল সূর্যকে আড়াল করে প্রকৃতির জন্মপরবর্তী ঈর্ষা নিয়ে।   দৃশ্যত জন্মের আগে আদিতে জন্মেছি একবার আদি জন্মের পরে জন্মেছি বহুবার একজন্ম অ্যাডাম-ঈভের সাথে প্রকৃতি,নিসর্গ, বিশ্ব-পৃথিবীর সাথে হাড়-মাংস, জল, জলস্খলনের সাথে পূর্বপুরুষের উত্তরপুরুষীধর্মের ধারাবাহিকতায় ভ্রুণ আর ক্রোমোজমের বাস্তবতায়।   জন্মেছি বারবার দৃশ্যত জন্মের আগে-পরে ভূমিষ্ট হয়ে দেখেছি জীবন একবার-বহুবারে।  
>>

Items: 46 - 60 of 156

<< 2 | 3 | 4 | 5 | 6 >>

Search site

একটি ব্যক্তিগত ব্লগ। সব দায় এবং দায়িত্ব লেখকের একান্ত নিজস্ব।