Blog
গতির গোলক
14/07/2012 18:05
আলগোছে ব্যস্ততম দিন ডাকে দিনান্তে ফেরে আপনার ঘরে
ঘরে ঘরে ঘরময় হয় সব। ঘরের প্রতিবিম্ব পড়ে থাকে মেঝের ‘পরে
মাঝ বরাবর জ্বলজ্বল করে রক্তালু চোখ; জঠরজ্বলা চোখ
কাল সারারাত পাতে পড়েনি যার একমুটো দানাপানি
সে অদ্য ভোরে নেমে পড়েছে প্রেমসন্ধানে।
প্রেম, প্রেম সে কোন এক মাতাল প্রেম আপাত প্রেমসন্ধানী অলুক্ষণে প্রেম
তাই স্বভাব প্রেমিক হারাতে যায় স্বভাবচরিত, হাত পাতে শূণ্যে
খাঁখাঁ মাঠে সহসা গড়িয়ে পড়ে স্বৌজঃ স্বেদবিন্দু দ্যুতি নিয়ে
এক এক করে আগলায় পথ, আগলায় মাঠ। মাঠে জমে মাঠের ফসল
দূরে থেকে কতিপয় চোখ লক্ষ্য রাখে গতির গতিবিধি
গতিতে গতিতে মাতম ওঠে, সাজানো বাগানে বসে প্রজাপতিমেলা
ব্যস্ততমদিন ব্যস্ততার কাছে হার মানে, একহাতে আগলায় নিজেকে ফের
মেঝের রক্তালু চোখ তখনো সরব-হাপিত্যেশ করে ফিরে আসে নিজের কাছে
হার মানে কালের গতি; গতিহীনতাও মাঝে মাঝে দখলে নেয় গতির গোলক!
>>
———
খেলপুতুল
14/07/2012 18:04
যাদুবাস্তবতায় আছি, আছি ঘোরে- আত্মঘোরে
দিন দিন প্রতিদিন দিন গুনি, দিনের ফেরে আটকা পড়ি
দিনান্তে দিনের কাছে আসবো বলে রাত কাটে অযথা ঘোরে,
ঘোর, ঘোর দিনের ঘোর; রাতের ঘোরে আটকায় কদাচিৎ
রাত গুনি রাতের গহীন থেকে রাতভর
এভাবে কেটে যায়, কাটিয়ে দেয়া হয়ে যায়
মনে হয় ঘূর্ণাবর্তে জীবন-
সে খেলে আমাকে নিয়ে আমি হয়ে যাই তার খেলপুতুল।
>>
———
মৃত্যুঘন্টা বাঁজার আগে
14/07/2012 18:03
মৃত্যুঘন্টা বাঁজার আগে একবার চেয়ে নাও নিজেকে
কেমন ছিল তোমাদের অতীত কিংবা তার আগেকারক্ষন
যেমনটা ছিল তোমাদের পূর্বপুরুষ তার কিছু কী পেয়েছিলে তুমি
না-কী সবকিছুই ফেলে এসেছো অলুক্ষণে দিনের কাছে;
এ দিন সেদিন সেসব দিনের কাছে হাত পাতে
খাঁ-খাঁ হাত সেই আগেকার মতই থাকে কপর্দকহীন
একটা কিছু দিলে তবে হয়ে যেতো কানায়-কানায় পূর্ণ কোনো!
একবার মৃত্যুঘন্টা বাঁজার আগে জীবনের গান বাজে
জীবনগানের কাছে হার মানে অপরাপর সব; ব্যস্ত ভবিষ্যত
তাই ভবিষ্যতের ভবিতব্যের কাছে আমাদের দায় থাকে
সাক্ষাৎ প্রতিমারূপী অচেনা কোন বন্দরে ভেড়ানো তরী,
তোমরা তরী ভেড়াও ফে্র, তরীও কাছে আসে ফিরে ফিরে।
তোমরা আর তরীগুলো মাঝে মাঝে মিলেমিশে একাকার হয়
আমি দূর থেকে অনুভবে নিই চেনা গন্ধ অচেনা ঢঙে,
পালাবদল আসে পালাবদলরূপে, সাথে সাথে হাঁটে মৃত্যুদূত পোড়ামূখি সেজে
আমি তাদের হারিয়েছি অদ্যাবধি-
তোমাদের বাড়ি তার বাড়ি থেকে কতদূর!
>>
———
প্রশ্নবোধক
14/07/2012 18:01
আর একবার নিজেকে ভেঙেছি আমি
বিকেলে দেখি তোমার মোহনায় ঠাঁয় হয়ে রয় সব
দূর থেকে ভাবলে তোমাকে আকাশ লাগে
কাছে এলে অন্যকিছু
কাছ-দূর একাকার হলে বোবাভাষাজ্ঞানের প্রতিযোগিতা
ঈশ্বরসম আধিপত্য একান্ত অথচ নিয়ন্ত্রিত নিজেতে;
মেয়ে, তোমাকে দেবো বলে সব নিজেকে বলেছি আজো
অন্তঃজজন সায় দিযেছে ফের
তবে কেন ঠিক-ঠিক তোমার মত
একবারও কী ভালোবাসি বলা যায় না?
>>
———
ছায়া
14/07/2012 18:01
তোমার অধর ছুঁয়ে যাবে নগ্ন হাত
অর্ন্তচক্ষে খসাবো বৃষ্টির জল
শীতল পরশরূপে বয়ে যাবো হৃদয় অলিন্দে
মগজের নিউরণে জড়াবো নবতর চিন্তার জাল
তখন তুমি শিউরে উঠবে
চোখ বুজে বসে থাকবে হার্দিক আগন্তকের প্রতীক্ষায়
তোমার এ শরীর ও শরীরিভাষা শিহরণি প্রতিরূপ
ধীরে যে বেলা বয় তার পথ চেয়ে
পাতা ঝরার ক্ষণে খুঁজবে পাতা গজাবার ক্ষণ
তুমি হয়তো উতলা হবে,কিন্তু আমি
নিশ্চল নেত্রে পড়ে যাবো তোমার শরীরিভাষা।
তাকিয়ে দেখো-এ সময়টা তোমার নিজেকে ভাঙার
তুমি তাই নিজেকে ভাঙো,একান্ত
নিমগ্ন হও নিজেতে,পৌছাও তোমার অতলে
দেখবে একা নও তুমি
ছায়ারূপে তোমার কাঙ্খিতজনও
>>
———
আত্মপরিচয়
14/07/2012 17:47
জন্মের পর সত্যই জন্মেছিলাম যেদিন সেদিনই চিনেছি নিজেকে। মাটিচাঁপা দেয়া সুবোধ চারা যেমন ক্রমে সুশোভিত করে সব আমিও তেমনই। প্রথমে আলো জ্বেলেছি আমাতে তারপর পরিপাশ্ব।
পাঁপ ছুঁয়নি আমাকে বলিনি কখনো যদিও সব আজ বোধের অতীত বলে জানান দেয় নিয়ত। আমি সৃষ্টিপ্রাম্ভক্ষণে জলের পিঠে সওয়ার হয়ে সৃষ্টি করেছি ভূ-ধারা তাই কিছু কিছু জল রোজই প্রণাম ঠুকে আমার পায়ে। আমি যেদিন আমাকে চিনেছি সেদিনই আমা থেকে বিচ্যুত হয় বিচ্যুতি, দুগ্ধস্নানে নিজকে করেছি অপাপবিদ্ধ। আমি আমার মতো, পাপহীন আমার পুর্বপুরুষের মতো, ধ্যানরত ঋষীর মত। যদিও আমাকে কেউ কোনদিন দেয়নি কোন উপাধী তবু আমি নিজেই নিজের উপাধী আর নিজেই নিজেকে নিয়ে গড়েছি সমূহ বসতবাড়ি।
মোহাম্মদ, শুনেছি তোমায় অনেক, বিশ্বেস করি ক্ষমার দৃষ্ঠান্ত তুমি, শেষ নবীও তুমি, তোমার পরে যদি আসতো আর কেহ তবে আমিই হতাম সেই প্রবাদসম, সে-ই শেষ- কবির য়াহমদ।
>>
———
জন্মশতবর্ষের কবিতা
14/07/2012 17:46
একদিন আমারও জন্মশতবরষ হবে
তখন হয়ত তার স্বরে গেয়ে যাবে কোন পাখি
কোন কোন মাছরাঙা তার শিকারি ঠোঁটে
আয়েশে পেটে পুরবে কুন অভাগা পুটি
কোন আচানক বনে অযথাই নীড় খুজবে কুন পতঙ্গ
অযথাই এক হাপিত্তেশ সঙ্গী করে বাতাসে ওড়বে অশরিরি কোন।
একদিন যেদিন জন্মেছিলাম আমি সেদিন দিনটা ছিল গতানুগতিক
একদিন যেদিন লিখছি বসে আপাদমস্তক কবিতা কোন এক
জিবনপঞ্জিকা তখন সামনে পেছনে আমার
আমি নিজকে ভাংতে গিয়ে আলগোছে গড়ে নিই নিজেকে, তাই
দিনশেষে আমার আমি নিতান্তই অচেনাজন
জন্মথেকে শতবরষ কিংবা তার গুণদশেক পর
নিজেকে ভাবতে বসে অজানিত কোন পথিকের ভীড়ে ভাসে মুখচ্ছবি
পূণঃজন্ম হয়, পূণঃজন্ম হয় আমার-------------
পূণঃজন্মে আমিও হয়ে যেতে চাই এক মানবশ্রেষ্ঠ করমোবীর
জুন ২,২০০৯।
>>
———
কাছ-দূর
14/07/2012 17:43
যত দূরে যাও তুমি আমি চলে আসি তত কাছে
যত কাছে আসো তুমি আমার অপ্রকাশ্যজন তত পিছু ডাকে
স্বভাবত কাছ-দূর একাকার হলে তুমি গড়ে নাও তোমার পৃথিবী
ভালোবাসার; একান্ত ভালোবাসার।
তোমার সে এক পৃথিবী যেখানে অমাবশ্যা নামে না
সতত ধারণ করে বসে থাকো পূর্ণিমা
অগুন্তি আকাশের স্বত্ব নিজের করে নিয়ে
এক এক করে সবগুলোতে ওড়ো
লক্ষ্যস্থলে তাকাতে গেলে কোথা হারাও তুমি,
দিন-দিন প্রতিদিনের প্রতীক্ষা শুধু ঈষৎ ঝলকানি
এ আমার জন্য এক নিজস্বভূম
যেখানে আর এক আকাশ সৃষ্টি করেছি আমি
তোমার জন্য-
তার বিশালতায় হার মেনেছে অপরাপর সব
শুধু নিগুঢ় অমাবশ্যার কাল অধ্যাবধি
পূর্ণিমার পথ চেয়ে বসে আছে সব
যদি আসো-
তবে পাবে এক উষ্ণ সম্ভাষণ।
>>
———
রাত
14/07/2012 17:42
রাত হলে তুমি বদলে যাও
তোমার চিরচেনা কন্ঠে ভাসে অন্যজন
অন্য কেউ এসে ভীড় করে তোমাতে
যেখানে আমার উপস্থিতি ছিল সেখানে
ভর করে নিস্তরঙ্গ দূপুরেমূর্তি;
এই কদিন আমি তোমাকে পড়েছি খুব
অথচ কোন এক গলিতে এসে থমকে যায় সব।
তুমি কী প্রকাশ হবে আমার কাছে
একান্ত নিঃশ্বাসের মত।
>>
———
ভোর
14/07/2012 17:41
ভোর হলো
যে তুমি বসা আছো আলোর সমান্তরালে
তোমা থেকে উদগীরণ হয় আর কিছু আলো;
তুমি তো আলাধার
দৃষ্টিপ্রখরতার আলোঝরা রোদ
অন্ধজনের মনে একচিলতে সুর
এ আমি রোজই যাই আমা থেকে অনেকখানি দূর
জামার আস্তি্নে তবু জমা রয় একমূঠো রোদ্দূর।
>>
———
পথের গল্প
14/07/2012 17:40
দুইটা পথের গল্প শোনালে তুমি
কোনটা যুৎসই তুমিই ভাবো
তবে ছাঁদটা না হলেই যে নয় তাই
হেটে আসো তোমার পূর্বতন পথে
শুনেছি সে পথ নুড়িতে ভরা তবু
সে-ই তো আবার পায়ে হাটা পথ বলে
পথ হারাবার ভয় নেই মোটেও।
অদ্য বাতাসকে দখল করেছে শীতপাখিরা
এখানে তোমার অবগাহনে আমার সমূহ আপত্তি
পথ হারাবার ভয়ও বিস্তর
হিসেবের গরমিলে যদি খসে পড়ে আরাধ্য প্রাণ এক
পালাবার পথ থাকেনা কোনো; ফিরবারও
তাই ছাদটা সযতনে ধরো মাথার ওপর,
আমাকে ভেবো না-
শেষ পর্যন্ত আমি তোমার জন্য
অনন্ত ভরসার এক অবারিত আকাশ।
>>
———
রাতভর বৃষ্টি শেষে ভোর অবধি দেখা মেলেনি খানিক সূর্যের
14/07/2012 17:35
নদীতীরবর্তীজন নদীকে ভাবে আড়ষ্ট আয়না বলে
ফি দিন গোসলের আগে দেখে নেয় আপনার মুখ
এপাশ-ওপাশ করে ভ্রুকুটি ছোঁড়ে যেন পূর্বপুরুষের দায়
পূর্বপুরুষ উত্তরপুরুষে এসে থামে উত্তরপুরুষ ধায় আরো উত্তরে
বংশানুক্রমিক ধারায় স্বরূপে ফেরে সিগমুন্ড ফ্রয়েড
কেউ কেউ ভাবে অথবা ভাবেনি পৌণে ষোলআনাজন।
দিন দিন দিনশেষে যখন রাত নামে
তখন রাতের গতর ছোয়ে যায় অশেষ ওম
একঝাঁক পায়রা ওড়ে আকাশে পরিকল্পনা ছাড়াই
কদাচ জোনাকপোকাদের স্বর্গরাজ্যে হানা দেয় বিপন্ন প্রজাতি এক
আমাকে কোন কোন দিন উদ্বোধনের নেমন্ত্রণ জানায়
আমি পথে নেমে পথ হাতড়াই ফি দিন পৌণঃপূনিক!
একদিন ভালোবাসা প্রসঙ্গে জানতে চেয়েছিলাম কোন এক শালিকের কাছে
শালিকটা আজন্ম বোকাএক দেখায় গোলাপকে
গোলাপ দেখায় ঝরে যাওয়া পাপড়িমালা
ও আবার কানে কানে বলে মাটির কথা
মাটির চোখ আকাশে;আকাশের অন্য কোনজন
আমি বুঝে যাই সব,ফিরে আসি নিজেতে
নিজকে বলি উত্তর চাই অথচ বোবা নিরুত্তর সব
জানা হয়না কোন দিন ভালোবাসার সংজ্ঞা।
তখনো অপেক্ষায় ছিলাম খুব, তুমি ছিলে আত্মবিসর্জনপর্বে
রূপবদল খেলায় মজিনি বলে বুঝিনি আগাগোড়া
আর বাহুসংলগ্নাজন আঁড়চোখে দেখে...
>>
———
মুক্তি
14/07/2012 17:32
মুক্তির নেশা চেপেছিল বলে-
বাধা দেয়া হয়নি মুখে মুখে
শর্তারোপ যদিও করেছিল অন্তজজন
আজ্ঞাবহ যে শালিক তার স্বর ভুলতে বসেছিল কাল
নিশ-পিশ জ্বালার অহর্নিশ সুর ভেসে ওঠে বাতাসে
একটা কালো বেড়াল রোজকার প্রাত্যহিকতা সারতে গিয়ে
গতকাল অযথাই হামলে পড়ে ইদুরগুহায়
তারপরের ঘটনা যদি খুলে বলি-
হেসে খুন হবে দখিনা হাওয়া।
কাল সারারাত রাতকে পাহারা দিয়েছি
লণ্ঠন হাতে নেমেছিলাম যুদ্ধাশ্রয়ে
এক প্রবল আকর্ষণ মোহময়তার চাদরে ঢেকে রেখেছিল
ভোর অবধি-
অথচ খানিক বাদে নিয়ম করে সূর্য ওঠবে বলে
শপথ করেছিল কোন একদিন; সে ওঠেনি
শপথভঙ্গের মালা পরেছে গলায়।
যাযাবরের মতো জীবন তোমার
আমিও মাঝে মাঝে নাম লিখাই তোমার দলে
দলে দলে দলভারী হয়
কোন একদিন নেত্বৃত্বপর্যায়ের লোক ভাবেই অনেকেই।
মুক্তি চেয়েছিলে বলে বাধা দেয়া হয়নি কোন দিন
দেবো বা বলে-বলে রেখেছি অন্তজজনকে
যে সুনীল আকাশ আমকে আশ্রয় দেয় ফি-দিন
কোন এক তারা যদিও বা খসে পরে তার বুক থেকে
তাকে কী আর আকাশের দোষ বলে ঢোল পেটাবে তুমি!
>>
———
বানের ব্যবচ্ছেদ
14/07/2012 17:31
সব ভেসে যাক আজ বানের জলে
ঘর-দোর, উঠোন আর খাঁ খাঁ মাঠ
নর্দমার ব্যাপ্তি যাক বেড়ে
সারা পাড়া-শহর আজ নর্দমা হোক
ভেসে যাক নাজমার মা'র সংসার
টুপ করে ডুবে যাক-
বাপের মাথায় চড়া নাজমা আর ছোট ভাই।
বান চাই, চাই বানের অনিয়ন্ত্রিত মহড়া
জলে-জলে জলকেলি। বন্ধ হোক
সুরমা, কুশিয়ারা, মনু, কালনীর ইতিহাসের ব্যবচ্ছেদ
ভাঙুক পাড়, রাস্তা, ঘর, বুক আর হৃৎপিণ্ড
তাতে বানের জলেরই বা কী
সময়ের ঘড়িতে যতই বাজুক
তিন কিংবা ছয় কিংবা নয়!
একে একে সব ভেসে যাক
শহর, শহরতলী, অজগাঁও কিংবা
নাজমার মা'র ঠেস দেয়া মাটির দেয়াল
জীবন, যৌবন...
>>
———
দিনলিপিঃ ফিরে দেখি গতকাল এই কালে এসে
14/07/2012 17:26
আমাকে অবাক করে দিয়ে আমার ভাবনার জগতে হঠাৎই উকি-বুকি মারে পত্র-পত্রিকা। রোজ রোজ কত নিউজ আসে আমি পড়ি সময় পেলে, না পড়লেও অন্যেরা ঠিকই পড়ে। আমার পড়া না পড়া নিয়ে কোন পত্রিকার বাণিজ্যিক জগতে কোন পরিবর্তন আসেনা/আসবে না। ব্যাপারটা নির্ভর করে এখন আমার সমইয়ের ওপর।
আমার গ্রামের বাড়ি সিলেট। কাজ করতে ঢাকা আসা। কাজ করি একটা বিদেশি ব্যাংকের কর্পোরেট ব্রাঞ্চে। পূরোদস্তুর এক কর্পোরেট চাকর। এর বাইরে এক সাদামাটা কবির, এক বেকুব মানুষ।
এখন বলবো আমি কোন এক সেমি মাঝরাতের গল্প। সেদিনের সময়টা ছিল রাতের। অফিস শেষ করে কলিগদের সাথে নিয়ে গিয়েছিলাম বেইলি রোডে। উদ্দেশ্য আড্ডা আর উদরপূর্তি! এক কলিগের পকেট সাফাই করে হেল্ভেশিয়ায় খেলাম তারপর আড্ডা। ইত্যবসরে মোটামোটী ভালোই রাত হয়ে গেছে। সন্ধ্যে আটে শহর বন্ধ হয়ে গেলে রাত দশে পূরো শহরটা এক ভূতুড়ে নগরীতে পরিণত হয়। বাসে খুব একটা চাপি না। নিজের ব্যক্তিগত কোন গাড়িও নেই। আর এ সময়ে বাস তো অসম্ভবই!
আমি থাকি পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়া। শান্তিনগর মোড় থেকে রিক্সা নিলাম। ভাড়া মাত্র ৪০। মনে মনে ভাবলাম ঠকিয়েছি ব্যাটাকে। কারণ আগে যারাই ভাড়া...
>>