Blog
ঈশ্বরবিষয়ক সোজাসাপ্টা সাত!
14/07/2012 17:24
১,
যখন আমি ঈশ্বরের কাঁধে
তখন তিনি নামেন ধরার বুকে
যখন তিনি একাকীত্বে ভুগেন
আমি তখন ঘোষণা দিই নিজের ঈশ্বরত্বের!
২,
ঈশ্বরকে গাল দেয়া খুব সোজা
চলুন গাল দিই ঈশ্বরকে,
সে আনমনে গাল শোণে-
শেষ বিকেলে ঠিকই তোমাকে ভেবে
পূরণ করতে বসবে যাবতীয় চাওয়া-পাওয়ার নিকেশ!
৩,
আলগোছে ছুঁয়ে যায় নিস্কলুষ হাত
শিউরে ওঠি ফের তোমাকে ভেবে
তুমি যেন ঈশারায় ডাকা এক সতেজ ভোর
তবু বারবার কেন অন্তহীন বিস্ময়;
তোমাকে ভাবি বলে মাঝে মাঝে তোমাকে খুঁজি
চোখে চোখে অন্তঃর্জন আর ঐশ্বরিক হাত
ঈশ্বর হয়েছো বলে ফি-দিন কান পেতে শুনি
তোমার সুমিষ্ট কলহাসি।
৪,
যে শুরু করেছিল পথচলা তার জন্মকাল থেকে
তার জন্মের কোন ঠিকানাও পায়নি কেউ
নিজহাতে গড়া নিজের অবয়ব আর অপরাপর সব
যত্ম করে রাখে সে মনের শো-কেসে।
কত ঝঞ্ঝা দেখো ছুটে যায় পাগলা গারদে
কত কী যে আঁতিপাতি নিয়ন্ত্রণবৃত্তে
কত কী হয়ে যায় বরফকাল
তবু হিম-হিম মগজে দেখেছি শুধু উত্তরীয় প্রেম।
আমার মগজে আমিই থাকি তোমাতে দেখেছি আ-পৃথিবী
আমি আমার বিরাগ হলেও তুমি যে অন্যজাতের
তাই ফি-দিন তোমাতে এসেই করে...
>>
———
খেল
14/07/2012 17:18
এ এক আজব খেল-
মাথার ওপর ঝুলিয়েছে যাবজ্জ্বীবনের খড়গ
জারি করেছে হুলিয়া, তাই
পালিয়ে বেড়াই ঘর থেকে ঘরে;আশ্রয়ের খোঁজে
একমূঠো আশ্রয়,মাথা গোঁজার ঠাই
দিয়ে দিলে কেউ-আমি হয়ে যাবো আমৃত্যু ভৃত্য এক!
অপরাধি সাজিয়েছে যে
সে শোনায়নি কভু অপরাধের সংজ্ঞা
আমি ভাবি আমার মতো সে ভাবে তার মতো করে
মাঝখানে তৃতীয় পক্ষের যত আগ্রহ
আমাকে আমা থেকে আলগা করার প্রাণান্ত প্রয়াস
আমি পড়ে যাই কালের ফেরে
পথে পথে দেখি অনেক পথ অথচ
পা ফেলার নাই খানিকটা ঠাই।
মনে পড়ে ইস্টিশান আর রোদেলা দুপুর
টেনে নিয়ে আসে ঘরের কোণ থেকে ঘরকূঁনোদের
আমি পড়ে যাই অলক্ষ্যে তাদের দলে
আমাকে মিহিস্বরে ডাকে দূরবর্তী ট্রেন
আমি উথলা হই পূণর্বার-
ভুলতে বসি আজব খেলের আচানক কাহিনী
আশ্রয়ের খোঁজ আর যাবজ্জ্বীবনের খড়গ।
হে খেলের খেলুড়েজন,
আমাদের মিহিস্বর অদ্য ভোরে দেখেছে সূর্যের মুখ
একমূঠো আলোও ছুয়ে গেছে নিশ-পিশ হাতে
তুমি যদি ফের ঘুরাতে যাও তোমার খড়গ
জেনে রেখো, আমিও জেনে গেছি-
খড়গ ঘোরাবার সমূহ ছলাকলা।
>>
———
তুমি আসবে
14/07/2012 17:16
জেনেছিলাম তুমি আসবে, তাই
সকালের রোদকে ছুটি দিয়েছিলাম আলতো করে
দুপুরকে আহ্বান জানিয়েছিলাম নিজের মতো করে
থমকে দাঁড়ানো সময়টাকে দাড় করেছিলাম তোমার অপেক্ষায়।
তুমি আসবে, তাই গতরাতে নামেনি জোছনামালা
চাঁদও দাড়িয়েছিল ঠায়, ভুল করে যদি ছড়াতে যায় সমূহ আলো।
তোমার অপেক্ষায় কাটিয়েছিল নিশাচর পাখি
ফলতঃ গতরাতে সে বাঁধেনি কোন সুর
বাঁশবনে লাগেনি কোন মৃদু-মন্দ হাওয়া
ঠায় দাঁড়ানো আর সবেও জেনেছিল তোমার আগমনী গান।
তুমি আসবে, তাই অদ্য ভোর- ভোর হয়েছে আগে-ভাগেই
তোমাকে ঘিরে থাকা আমার বাগানে আজ ফুটেছে হাসনাহেনা ফুল
তুমি আসবে, তুমি আসবে, তুমি আসবে বলে
কুণ্ডলী পাঁকানো মগজেও খুলেছে সমূহ জট।
তুমি আসবে বলেই নিশ-পিশ করা শিখে গেছে
তোমার ছুঁয়ে দেয়া আমার এই হাত।
>>
———
বধ্যভূমি
14/07/2012 17:13
গো-চারণভূমি যেমন থাকার কথা তেমনই আছে
খুঁটিওলা গরু খুটিছাড়া গরু আরামে ঘাস খায়
বর্জ্য ছাড়ে নিঃসংকোচে।
বর্ণিল পাথরখন্ড গুমড়ে কাঁদে
সজীব ডগা-মুড়ানো ঘাস কিংবা ঝোপের আড়ালে
শুধুমাত্র গরুরাই এখানকার অভ্যাগত অতিথি,দর্শক শ্রোতা
হয়তোবা কোনকালের কোন মূর্খের কাজ
অযত্মে-অবহেলায় আকাশ দেখে মূল্যবান পাথর।
কেউ কী জানে না ঐ পাথরের মূল্যমান
কেউ কী জানে না এখানে শায়িত অস্থিমজ্জ্বা,অমিত সন্তান
কেউ কী দেখে না ঐ পাথরের নেত্রজল
কেউ কী দেখে না ঐ বহমান রক্তক্ষরণ?
কে দেখবে
...
>>
———
তোমার সঙ্গে একদিন
14/07/2012 17:12
তোমার সঙ্গে একদিন ভালবাসতে যাবো তোমাকে
অনেকগুলো বছর পাওনা রয়ে গেছে তোমার কাছে
আলগোছে আমা থেকে যতই সরিয়ে রাখো তোমার ওম
আমি ঠিক ঠিক হিসেব করে রেখেছি কাগজে-কলমে
দৃশ্যমান এ খাতা-কলম আপনা থেকে নিঃশেষিত হলেও
এ যে অবিনশ্বর;কখনো ফূরোবার নয় বলে গেছে কেউ!
তুমি মনে করে দেখো আর একবার সোনাঝরা রোদ
চিরল পাতার ফাঁক গলে কায়দা করে ঝরছিল বাহুতে
আমার ঈষৎ ব্যতিব্যস্থতায় তুমি সরিয়ে নিলে হাত
বিষণ্ণ মনে ঠাঁই করেছিল সে পায়ের কাছাকাছি
তারপরের ঘটনা যদি বলে ফেলি আজ-
দোহাই পাড়বে তুমি,আমি চাইবো এই ক্ষণও চলে যাক সেই ক্ষণে!
তোমার সঙ্গে একদিন এই শহরে বেড়াতে এসে
আমি পূরোটা শহর উইল করে দিয়েছিলাম তোমার নামে
তুমি দিয়েছিলে আমায় পূরো বিশ্ব
আমি বিশ্বসিংহাসনের অধিশ্বর হয়ে চেয়েছিলাম তোমার হাত
দেবে বলে দেখাতে নিয়েছিলে প্রবহমান জলরাশি,জলের তোড়
বলেছিলে- জীবনটা এখানেই শুধুমাত্র ভালবাসা ছাড়া
আমি গলে যাই, হাতড়াতে থাকি পথ অন্ধপরিব্রাজকের মত!
তোমার সঙ্গে একদিন তোমাতে এসে
আমি সবগুলো দিন দিয়ে যেতে চাই তোমার কাছে।
>>
———
আমার মৃত্যুদিনে
20/07/2012 11:07
আমার জীবদৈহিক মৃত্যুদিনে মানুষের ঢল নেমেছিলো
কিছু চাপা কান্না আর অভিসম্পাতে ভারী হয়েছিলো পরিবেশ
কিছু কিংকর্তব্যবিমূঢ়তায় বুঝে উঠতে পারিনি অনেকেরই প্রতিক্রিয়া।
আমি ছিলাম ঠায় জাগতিক নীরবতা ভর করেছিলো মুহুর্তেই
এ এক অদ্ভুত দৃশ্য আমাকে দিয়ে সাজানো মঞ্চ
অথচ অংশগ্রহণের সামান্য সামর্থ্য হারিয়েছিলাম নিমিষেই,
বুজে আছি চোখ, বন্ধ করা মনোদুয়ার দেখছি সব তবু মনে হয়
দেখিনি অথবা দেখা হয়নি কিছুই কেমন অচেনা-অজানা ক্ষণ।
হাত নাড়াতে গিয়ে দেখি নড়েনা হাত, নড়ে উঠে পৃথিবী
পা চালাতে দেখি বরফখণ্ড পা, সরে যায় পুরো ভূ-খণ্ড
চাঁদ-সূর্যের ভেদ ভুলে মনে হয় এমন কিছুই ছিলো না কোনোকালেই
মিহি বাতাস আসে শনশন স্বরে তবু অনুভূতিশূন্যতা মোড়া!
আমার জীবদৈহিক মৃত্যুদিনের মানবঢলে আমি কাউকেই চিনতে পারিনি
এমনকি আমার পরিজন যাদের সাথে ছিলো আমার জন্মসহযোগ
আমার ধমণীতে বয়ে যাওয়া যে রক্তের ধারাতে আরো ক’জন
শেয়ার করেছিলো তাদেরও আলাদা করতে পারিনি সময়ের তোড়ে,
আমার রক্তে কিছু রক্তের জন্ম হয়েছিলো বলে জানে লোকে তারাও অজানা ক্ষেত্র
মনে হয় আমি ছিলাম একাকী একজন; অনাহুত আগন্তুক...
>>
———
গণিকারা
14/07/2012 13:46
কোন এক সন্ধ্যায় আকাশ গাঢ় লাল হলে
এক প্রান্তিক কবি নেমে আসেন পৃথিবীতে
সাথে আশ্চর্য গণিকারা অথচ কেউ তাদের ভাবেনি আগে
স্বয়ং কবিও-
স্মৃতিতে উদীপ্ত গণিকা যৌবনে ঢুলু ঢুলু
প্রেম ছুঁয়ে যায় অধর ধরে রাতের অন্ধকারের মত
এক রাত, দুই রাত করে কয়েক গণ্ডা রাত হয়ে এলে
নুয়ে পড়ে দখিনা বারান্দা, ঝুলে পড়ে কলমীর বন
দুর্ব্বাঘাসে কয়েক ফোঁটা মধুরস চিৎকার করে;
কামমুগ্ধতায় যারা জেগেছিল তারাও জানেনি ইতিবৃত্ত
তাই মুগ্ধতা মিইয়ে আসলে সবাই পথে নামে- বাড়ির পানে।
এটা হতে পারতো শুধুমাত্র সন্ধ্যার গল্প
কিন্তু প্রদীপ্ত গণিকার হাত ধরে তার বয়স বাড়ে
তাই মাঝরাতে শহরবাসী ঘুমালেও শহরখেকোরা ঘুমায়না
গণিকার হাত ধরে শহরের ওপারে গড়ে নেয় আরেক শহর।
>>
———
মা
14/07/2012 13:34
জন্মে জেনেছি আমি সুহৃদ তুমি
জন্মাদিতে জেনেছিলাম ঢের
তারপর কতপথ হাটা
কত দিগন্তে আটকানো দৃষ্টি
কত হাওয়া শুষেছে আমার ঘামগন্ধা শার্ট।
মা, বাড়াও দেখি তোমার পা
আমি ছুয়ে যাবো তোমার অলিন্দ্য
কত পথ পাড়ি দিলে শোধ হবে তোমার ঋণ।
>>
———
বিরোধীদল
14/07/2012 13:06
যা ছিল তা আছে, যা আছে তার কিছু কিছু ছিল
কিছু থাকে সরাসরি কিছু থেকে যায় অগোচরে
তাই সব কিছুর কোন কিছু বয়ে চলে বহতা নদীর মত করে
তবু মাঝে মাঝে হারিয়ে যাওয়া হয় কোন দীঘল কালোর কাছে;
কালো মানে নিকষ কালো বাহ্যিক আবরণরূপে
অথচ ভেতরে ভেতরে অন্য রূপ তার
তাই নিজেকে সঁপেছি, নিজেকে দেখেছি কোন এক সময়ে তার কাছাকাছি হয়ে।
একদিন এভাবে ভেবে চলি, প্রতিদিনই ভাবা হয়না তেমন করে
তোমাকে দেখি তোমাকে ভাবি একদিন-প্রতিদিন
তবু তোমার কাছে সারাজীবন বিরোধীদলই থেকে গেলাম
>>
———
মঞ্চে এক সূর্যসন্তান
14/07/2012 12:42
এটা একটা কবিতা, উৎকৃষ্ট কবিতা
ভাবতে পারো আত্মপ্রচার, হয়তো তা-ই
আমার বাবা এক মুক্তিযোদ্ধা, গণযুদ্ধের মুক্তিযোদ্ধা
সম্মুখযুদ্ধে অংশ নিয়ে পেড়ে এনেছিলেন এক দেশ; বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ, তোমার জন্ম যে পথ বেয়ে
সে পথের কোনো এক মাসে এসেছি আমিও
যদিও তুমি আমা থেকে বছর কয়েক বড়
তবু আমিও দেখিনি তোমা থেকে খুব একটা কম
হয়ত তোমার মতো নয় অভিজ্ঞ কোনও এক
ভাবতে পারো পোড় খাওয়াজন, খাঁটি সো্না!
এই ফাল্গুণ গত হয়েছিল গত বছরে
তা লিখে রাখেনি কোনো সংবিধান
ছাপা হয়নি কোনো খবরের কাগজে
কোনো টক-শো তে বসেনি কোনো টিভি চ্যানেল
তবে আমি লিখে রেখেছিলাম বলে ফের অবগাহন করি
আর একটা জ্বলজ্বলে সুর্যে রাখি তুমুল পদক্ষেপ
তো্মাকে সমানে রেখে।
এ আমি গর্ব করতেই পারি আমার পিতাকে নিয়ে
গর্ব করতে পারে আমার পিতামহ, তাঁর পিতা আর পিতামহ
আমার পরিজন, আত্নীয়-অনাত্নীয়
একটা সূর্য সন্তানের দেখা পেয়েছে বলে।
দিন যায়, মাস যায়, আসে আর একটা দিন – মাস
ঘটনা যা-ই ঘটে যাক এই ফেব্রুয়ারিতে
যতই পিলখানা ঝড়ে ঈশ্বরকে কাঠগড়ায় আনে বিশ্বলো্ক
আমি এই চৈত্রে এসে ঘোষণা দিয়েছি...
>>
———
তুমি
14/07/2012 12:37
এক পৃথিবীতে শীত নামে শীতের সময়ে
মাঝখানে কেউ কেউ ধারণ করে অপার্থিব ওম।
পৃথিবীকে বাঁচিয়ে রাখে তোমার হাসি
ভাষাজ্ঞান আর থমকানো দৃষ্টি
এখানে প্রতিদিন ভোর নামে ভোরের নিয়মে
দৃষ্টির লিরিকে দিয়ে যায় কতশত
নিথর প্রাণে প্রাণের আবেশ।
তোমার আঁড়চোখের ভাষা পড়তে জানি
তবে মাঝপথের বাঁধটা সামনে আসেই
তাই আর একটা দিন একলা-একলা স্নানঘরে কাটিয়ে দিই,
এই দুপুর গতকালও ছিল এমনই
কালকের যে সময় একান্ত ছিল সেখানেও তোমার উপস্থিতি
শুধু ভাষাজ্ঞানের বোবারূপ
কে কবে দিয়েছিল মুখে কলুপ এঁটে!
তুমি তো গতকালও ছিলে তোমার মতো
আহা,ঊৎসবমঞ্চে কী দারুণ অভিনয়
পায়ে যদি নূপুর বাঁধো শব্দ হবেই
নামমাত্র ঢঙে নিজেকে আগলাবো বাসিফুল ভেবে নয়।
শুনেছি, একটা প্রেম হবে আধুনিক-হয়তো উত্তর আধুনিকও
আঁজলা ভরে বসে আছি তোমার জন্যে
তুমি যদি ফিরে যাও তোমার সময়ে
আমি আমা থেকে আমাকে ছাড়াবে
পৃথিবীর সমানবয়সী প্রেমপত্র অনর্গল ধ্ব্নীত...
>>
———
উপর থেকে তাকালে সব তুচ্ছই মনে হয়!
14/07/2012 12:37
হিসেবের গরমিল ছিল তোমার তাই
সাধের শতকিয়া ভুল জপেছ
আমি জানতাম আগেই বলে
পথ ছিল সুহৃদ; জীবনও
সেই কবে পথকে আপন ভেবে
কত পথিকের ভীড়ে হারিয়ে নিজেও সেজেছি অন্ধপথিক;
জন্মের অব্যবহিত পরে যে পথ দেখেছি আমি
তোমাতে এসে পেয়েছিলাম অন্য কোন এক অথচ
ভুল সময়ের ফেরে তুমি নিয়ে নিলে পথের বাঁক!
রাত দৃশ্যত নিকষ অন্ধকার অথচ গভীরে তার উল্টোরূপ
আমি জানি তুমি জানতেই না
কোন-কোন ভোর আসে অনন্ত প্রতীক্ষার দাফন সেরে।
>>
———
বিজ্ঞাপন
14/07/2012 12:35
মানুষ বিকোবার হাট নেই কোনো
তবু নিজের অলক্ষ্যে নিজেকে হারিয়েছি কোথা
বুঝিনি তখন-
বেঘোরে থাকলে সব ভূলোমন!
নিজেকে নিজ থেকে হারালে বুঝি মানুষ প্রেমে পড়ে
অথবা প্রেমে পড়লে মানুষ নিজেকে হারায়
যুক্তিতর্ক বুঝিনা কিছুই-
বুঝি কেউ যেন কিনেছে আমায় কিংবা শুধুই মতিভ্রম!
গতকাল হেঁটেছি খুব বাজারে আজও হাঁটছি বেশ
অথচ দেখিনি কোথাও মানুষ বিকিকিনির টংঘর
তাই আমাদের কেউ কেউ ষোল কিংবা একুশে পা দিলে
আমাদের এই আমিও কাটাতে যাই আর কিছুদিন।
কাল কেউ এসে দিয়ে গেছে আমার সামষ্টিক অবয়ব
তাই শুধু শুধু আর আমাকে ভাবিনা
ভাবনার পালে লাগে উল্টো হাওয়া-ভারিক্কি চালের সব
কল্পলোক গাঁয় হেঁড়ে গলায়
তবু প্রশ্নটা বেশ সপ্রতিভ-কোথা বিকোলাম আমি?
এই গ্রীষ্ম গত হয়েছে বর্ষাতে এসে, বর্ষাও একই পথে
এমনতর বাকী সবও। তুমি-আমি অথবা আমি-তুমি
নিজেকে বিকোলাম অলক্ষ্যে হয়তো কিনলামও একই ঢঙে।
>>
———
বিচ্ছিন্ন সংলাপ
14/07/2012 12:34
এক শীতসকালে একটা কবুতর ওড়েছিল
ভোরের শিশিরকে সাক্ষী করে দিয়েছিল এক
খসে পড়া পালক-বুকপকেটে রাখবো বলে!
মাঝখানে খানিক বিরতি, দিন-রাত সময়ানুবর্ত
ভেবেছিলাম পেয়ে গেছি সব
অথচ মাঝপথে তুমি দেখিয়ে দিলে
আর এক পথ!
কাল সারারাত নেশাতে চুর হয়েছিল যারা
আমার উচাটন মন সওয়ার হয়েছিল তাদের মাহফিলে,
আমাকে আজ আমা থেকে আলগা করে যে
আর এক শীত দুপুরে ওড়ে যায় সে
দূর আকাশে!
>>
———
করুণার জল বড়ো ঘোলা হয়
14/07/2012 23:06
গল্পচ্ছলেই হোক কিংবা বাস্তবতায়- যতটা
তাঁত বুনবে তুমি-
বিকেলে দেখবে তেমনই জমেছে ফল
তবে অদ্য জেনে গেছে সব,তুমি
এক পালছাড়া নৌকোর দিকহীন মাঝি
এখানে হিসেবের গরমলে আলগোছে
বেলা গড়ালে বাজারমূল্য সামনে আসেই।
সওদায় বসিনি যদিও তবু আমিতো
অংকে কাঁচা ছিলাম না কোনকালেই
আর এতো-
আস্ত কুমড়ো, দেখতেই হয় ভেতরকার হালচাল।
মেয়ে,
যদি কভু হারো নিজের অথবা আর কারো কাছে
ফিরতি পথের ধূলোও বিতৃষ্ণ হবে
নিঃস্ব হবার সাধ যদি জাগে কখনো
নৈঃশব্দে ভেবে দেখো-করুণা নেবে শুধুই করুণা।
>>