Blog

চাঁদে সাঈদীর মুখ: বিভ্রান্তি আর গুজবের ডালপালা

05/03/2013 11:45
পাড়ার একটি ছেলে হঠাত করে এসে বলে, ভাই সাঈদী নাকি জেলে নাই? আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম কেন! সে বলে ওঠে- উনি নাকি জেল থেকে চলে গেছেন! কোথায় গেছেন? উনাকে চাঁদে দেখা গেছে! আমি অবাক হইনি আবার গুরুত্বও দিইনি সে কথায়! সামান্য দূর আগাতেই পাড়ার বিড়ি-সিগারেটের দোকানেও অন্য অনেক কথার মাঝে হঠাত এমন কথা ভেসে আসলো- সাঈদীকে নাকি চাঁদে দেখা গেছে! আমি কিছু বলিনি- পাছে গুরুত্বহীন কথায় অংশ নিয়ে নিজের ব্যক্তিত্ব হারিয়ে বসি! তবু কান খাড়া করলাম পরবর্তী কথা শোনার জন্যে। খানিকটা সময় নিয়ে ইচ্ছা করেই দাড়াতে হল যদি নতুন কিছু আবিষ্কার হয়! গালগল্পরত একজন একজনের কাছে জানতে চাইলো তিনি নিজে কি দেখেছেন? উত্তর এলো- না! তাহলে? শোনা কথা। এভাবে আরো কিছু মুখ থেকে আর কিছু গল্প পাখা মেলে আকাশে! কেউই বলতে পারে না কে দেখেছে। অথচ একই গল্প সবার মুখে! অফিসে গেলাম। সেখানেও একই গল্প। সবাই মজা করে গল্প করছে সাঈদীর চন্দ্র কাহিনী সম্পর্কে। যারা গল্প করছিল তাদের কেউই নিজেরা দেখেনি চাঁদে সাঈদীর ছবি তবে মজা লুটতে বাকি রাখছে না কেউই। গল্পমধ্যে আমার এক কলিগ হঠাত করে বলে উঠলেন- দেখেছে নাকি তার এক বছরে মেয়ে! যে নাকি এখনো...
>>

একাত্তরের দেলু রাজাকারের নবতর সংস্করণ তেরো’র জামায়াত-শিবির

04/03/2013 11:33
আদালতের রায়ে প্রমাণিত দেলোয়ার হোসেন সাঈদী একজন যুদ্ধাপরাধী। তার বিরুদ্ধে আনীত ২০টি অভিযোগের ৮টি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। এবং অপরাধের শাস্তি হিসেবে ঘোষিত হয়েছে মৃত্যুদণ্ড। বাকি ১২টি অভিযোগ প্রমাণ না হবার অর্থ এই নয় যে তিনি সে সব অপরাধ করেন নি। প্রশিকিউশন প্রমাণ করতে পারে নি কারণ এখানে তাদের সীমাবদ্ধতা ছিল।সীমাবদ্ধতার কথা উল্লেখযোগ্য না হলেও উল্লেখ করছি কারণ তার মাধ্যমেই এই সব অপরাধও সংঘঠিত হয়েছিল। যার প্রমাণ সে সময়কার ভুক্তভোগী মানুষ। আদালতে প্রমাণিত না হলেও তারা সবাই জানে কুখ্যাত দেলু রাজাকার ওরফে মাওলানা দেলোয়ার হোসেইন সাঈদীর কুকীর্তি। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে সাঈদীর বর্তমান দল জামায়াতে ইসলামী দলীয় সিদ্ধান্তে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল। এবং পাকিস্তানি বাহিনীর গণহত্যার সহযোগী ছিল তারা। তাদের রাজাকার, আল বদর, আল শাসস নামক বাহিনী হেন কোন অপকর্ম বাকি রাখে নি যা গণহত্যার প্রভাবক। সাঈদী সে সময় জামায়াতে ইসলামীর কোন নেতা ছিলেন না কিন্তু খুব ভাল উর্দু বলতে পারেন বলে তাঁকে সব সময়ই সাথে রাখত পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তিনি লুটতরাজসহ বিবিধ অপরাধের...
>>

শাবি'তে নির্মাণাধীন মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য হবে; হতেই হবে

10/01/2013 23:25
৩ মে সোমবার ১৯৭১। রুমী বইটা আমার হাতে দিয়ে বলল। ‘আম্মা এই বইটা তুমি পড়লে মনে অনেক জোর পাবে। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের শুরুতে জার্মানি অতর্কিত আক্রমণ করে পোল্যান্ড দখল করে নেবার পর সেখানে পোলিশ ইহুদিদের ওপর নাৎসি বাহিনীর অমানুষিক অত্যাচারের বিরুদ্ধে পোলিশরা যে অসাধারণ প্রতিরোধ গড়ে তোলে তারই কাহিনী এটা। নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবার আগের মুহুর্ত পর্যন্ত কিভাবে তারা লড়াই করে গেছে, লড়াই করে মরেছে, তবু মাথা নোয়ায়নি, তারই কাহিনী এটা। এই বই পড়লে তোমার মনের সব ভয় কেটে যাবে, সব দুঃখ তুচ্ছ হয়ে যাবে। জার্মানরা ইহুদিদের মানুষ বলে গণ্য করত না। পশ্চিম পাকিস্তানিরাও আমাদের মানুষ বলে গণ্য করে না, মুসলমান বলেও গণ্য করে না। অথচ ওদের চেয়ে আমরা বহুগুণে খাঁটি মুসলমান। পড়লে তুমি বুঝতে পারবে, এই বইতে যা লেখা আছে, দেশ ও জাতি বদলে দিলে তা অবিকল বাংলাদেশ আর বাঙালীর দুঃখের কাহিনী, প্রতিরোধের কাহিনী, বাঁচা মরার লড়াইয়ের কাহিনী বলে মনে হবে।' (একাত্তরের দিনগুলি,১৪শ মুদ্রণ,পৃ: ৮০-৮১)" শহীদ রুমী তাঁর মা জাহানারা ইমামকে এসব কথা বলেছিলেন যুদ্ধে যাবার অনুমতি নিতে। উদ্দেশ্য মা'কে প্রভাবিত করা। কারণ রুমী তাঁর মা’র...
>>

গুজব আর অপপ্রচার: রেহাই পাচ্ছে না শিশুরাও

12/03/2013 23:58
আবারো গুজব, আবারো অপপ্রচার, আবারো আতংকিত মানুষ! মানুষ কত সহজে আতংকিত হয় এ আবার দেখা হল! গুজবের ডালপালা কত সহজে মুখ-মুখ হয়ে মানুষের কানে কানে পৌঁছে যায় তার সর্বশেষ নজির ভিটামিন এ-প্লাস ক্যাম্পেইনে ভিটামিন এ ট্যাবলেট আর কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানো পরবর্তী কিছু মানুষের প্রতিক্রিয়া। সারাদেশে হঠাত করে গুজব ছড়িয়ে পড়ে এই ট্যাবলেট খেয়ে শিশু অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে এবং অনেক জায়গায় নাকি অনেকেই মারা গেছে। কিন্তু কোন খবরের সোর্স এবং মৃতের সংখ্যা কেউই বলতে পারেনি। যারা এই গুজবে আতংকিত হচ্ছেন তাদেরকে জিজ্ঞেস করলেও দেখা গেছে তাদের নিকটজন কেউ অসুস্থ হয়নি এবং মারাও যায়নি। নিজের পরিবার থেকেই শুরু করে বলি, আমার ভাগনাকে আজ এই ট্যবলেট খাওয়ানো হয়েছে। এবং অনুমিতভাবেই সে সুস্থ আছে। অথচ আমার বাসার মধ্যেও এমন অনেকেই শুনেছে যে অনেক শিশু নাকি অসুস্থ হয়ে গেছে। আজ এই গুজব শোনার পর আমি আমার পরিচিত কয়েকজন ডাক্তারকে ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করলাম- আসলেই কি এমন ঝুকি আছে? তাদের সবাইই একবাক্যে বলল- কোন ঝুকি নাই! আবার শিশু মারা যাবার কোন সম্ভাবনাও নেই। ২০১৩ সালের ১২ মার্চ বাংলাদেশের ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইনের...
>>

আমরাও ব্যর্থ হবো না

18/03/2013 01:55
মাকে যেমন প্রবল আবেগে সম্বোধন করি, তেমনি দেশকেও। দেশ আর মা তাই সমার্থক। ইতিহাসের পরিক্রমায় আমাদের মুক্তিযুদ্ধ এবং হালের রাজাকারবিরোধী গণজাগরণ- সবই মাকে রক্ষার আবেগ থেকে উদ্ভূত! অনেককেই বলতে শোনা যায়, বাঙালির জাগরণকালের সময় পার্থক্য দু'দশক। দুই দশক সময়কাল পরপর তারা জেগে ওঠে তুমুল বিক্রমে, ঘরে তোলে সাফল্য। বায়ান্ন, একাত্তর, নব্বই, দুই হাজার তেরো- জাগরণের বছরওয়ারি কিয়দংশ হিসাব। বায়ান্নতে বাংলাকে মাতৃভাষা প্রতিষ্ঠার দাবিতে আন্দোলন, ঊনসত্তর-একাত্তরে গণঅভ্যুত্থান এবং বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা, নব্বইয়ে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের পর এবার রাজাকারমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার আন্দোলন। আমাদের সমৃদ্ধ ইতিহাস সাক্ষ্য দিচ্ছে, আমরা সফল হবো। এবার প্রজন্মের দেশ কাঁপানো আন্দোলন শুরু হয়নি কোনো রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীর হাত ধরে। কিন্তু এর মধ্যে রয়েছে এক প্রবল রাজনৈতিক চেতনা, যা ধারণ করে মুক্তিযুদ্ধকে। প্রচলিত ধারার রাজনীতি সংশ্লিষ্টতাবিযুক্ত মানুষের দেশপ্রেম, রাজনৈতিক চিন্তা দিয়ে এ আন্দোলন হুট করে রাস্তায় নেমে আসেনি। এর আগে বছরের পর বছর সাইবারবিশ্বে এ নিয়ে তুমুল আন্দোলন চলছে। অনলাইন, বিশেষ করে ব্লগে এ...
>>

জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের বিকল্প নাই

20/03/2013 01:32
২৬ মার্চের আগে একাত্তরের ঘাতক ও গণহত্যায় নেতৃত্বদানকারী জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে সংশোধিত ট্রাইব্যুনালস আইন অনুযায়ী অভিযোগ গঠন এবং জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধে আইনি-প্রক্রিয়া শুরু করা। অবিলম্বে যুদ্ধাপরাধীদের সংগঠনের আর্থিক উৎস চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা এবং এ বিষয়ে একটি স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন করা। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার-প্রক্রিয়া গতিশীল করতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে স্থায়ী রূপ দেয়া। গণমানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাস বন্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান জোরদার করা। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে যুদ্ধাপরাধী ও জামায়াত-শিবিরের মুখোশ উন্মোচন করা এবং তাদের রক্ষক ও সাম্প্রদায়িক উস্কানিদাতা গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া। এমনটাই ছিল শাহবাগ গণজাগরণ মঞ্চের ছয় দফা দাবি সম্বলিত আল্টিমেটাম। এবং এর জন্যে সময় বেঁধে দেয়া হয়েছিল ২৬ মার্চ পর্যন্ত। কিন্তু অদ্যাবধি এ সম্পর্কিত কোন কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয় নি বলে অনুভূত হচ্ছে। তাহলে কি সরকার পাত্তা দিচ্ছে না তারুণ্যের গণজাগরণ প্রজন্ম আন্দোলনকে। আল্টিমেটামের প্রায় মাস সময় পার হবার পরও এ সম্পর্কিত কোন...
>>

সানিউর রহমান: অনলাইন এক্টিভিস্ট না নাগরিক কি হিসেবে দেখা উচিত?

08/03/2013 20:35
মিরপুর পল্লবীতে প্রকৌশলী সানিউর রহমান নামক এক যুবক দুর্বৃত্তদের চাপাতির কোপে আহত হয়েছেন। প্রাণনাশের উদ্দেশ্যে তার ওপর হামলা হয়েছিল। ঘটনাক্রমে তিনি প্রাণে বেঁচে যান। কয়েকটি জায়গায় দেখলাম তিনি নিজেকে ব্লগার এবং শাহবাগ গণজাগরণ আন্দোলনের সাথে জড়িত বলে দাবি করেছেন। একজন ব্লগার হিসেবে তার সম্পর্কে আগ্রহ বেড়েছে তবে পরবর্তীতে বলেছেন তিনি ব্লগিং করেন না শুধুমাত্র ফেসবুকে লেখালেখি ছাড়া। অনলাইন এক্টিভিস্ট কিংবা ব্লগার যেই হোক না কেন আততায়ী হামলার মাধ্যমে তার নাগরিক অধিকার তথা বেঁচে থাকার অধিকারকে খর্ব করা হচ্ছে। বাংলাদেশে লক্ষাধিক ব্লগার আছেন। আছেন তারচেয়েও কয়কগুণ বেশী অনলাইন এক্টিভিস্ট। অলাইন বিশেষত ফেসবুক মানুষের হাতের মুঠোয় আসার পর অনেকেই ফেসবুকের দিকে ঝুকুছে। এই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহার করে মানুষ তার নিজের অভিব্যক্তি এবং মতামত প্রকাশ করে যাচ্ছে কোনরূপ প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই। গড়ে ওঠছে নিজস্ব একটা সার্কেল। এর মাধ্যমে ভাব-মতের আদানপ্রদান হচ্ছে। মুক্তমনে মানুষ লিখে যাচ্ছে নিজস্ব ভাবনাসমূহ।  ফলে ব্যক্তিক ভাবনাসমূহ ছড়িয়ে পড়ছে সবখানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সানিউর রহমান আহত হবার পর সবার...
>>

গণজাগরণ মঞ্চ: সিলেট প্রেক্ষিত

10/02/2013 00:50
গণজাগরণ মঞ্চ: সিলেট প্রেক্ষিত- কবির য়াহমদ সারা দেশ অভিন্ন দাবিতে একাট্টা হয়ে আছে- যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি আর জামাত-শিবির চক্রের নিষিদ্ধ করার দাবিতে। এমন অভূতপূর্ব গণজাগরণ ছিল ধারণার বাইরে কিন্তু আমাদের ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় বাঙালী জাতি সময়ে সময়ে যখন জেগে ওঠে তখনই তার ফল ঘরে নিয়েই তবে ঘরে ফেরে। এটা অতি আবেগিকথন নয় বাস্তবতা থেকেই নেয়া। অনেককেই বলতে দেখা যায় বাঙালীর জাগরণ কালের সময় পার্থক্য দু দশক। দুই দশক সময়কাল পর পর তারা জেগে ওঠে তুমুল বিক্রমে। বায়ান্ন, একাত্তর, নব্বই, তেরো- এই জাগরণের বছরওয়ারি হিসাব। প্রশ্ন তবে এর বাইরে কি জেগে ওঠেনি বাঙালী জাতি? হ্যাঁ, অতি অবশ্যই জেগেছে কিন্তু ফল আসতে সময় নিয়েছে দুই দশক সময়কাল। বায়ান্নতে বাংলাকে মাতৃভাষা প্রতিষ্টার দাবিতে আন্দোলন, উনষত্তর-একাত্তরে গণঅভ্যুত্থান এবং বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রপ্রতিষ্ঠা, নব্বইয়ে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পর এবার রাজাকারমুক্ত বাংলার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন। আমাদের সমৃদ্ধ ইতিহাস সাক্ষ্য দিচ্ছে আমরা কখনোই ব্যর্থ হইনি। ইতিহাসের এ অধ্যায়ের দিকে তাকালে দেখা যায় আমাদের ব্যর্থতা নাই তাই সফল হবোই! সারা দেশ...
>>

শীতবাড়ি

16/11/2012 18:54
তোমাকে ভেবে-ভেবে কাটিয়ে দিয়েছি কত শীতকাল এক শীতে ভেবে রাখি, পরেরবার যাওয়া হবে তোমার বাড়ি- পরের শীতেও এসে একই; ভাবনাগুলো তথৈবচ: যাওয়া হয়নি, দেখা হয়নি তোমার বাড়ি ও বাড়ি যাবার পথ। তবে জেনে রেখো এই শীত দিনক্ষণ ঠিক করে দেবার শেষ শীত এবারের পর আর কভু গাছের বল্কলে জন্মাবে না কোন যাযাবর গাছ, জগতের সব নিরপেক্ষ মানুষ জেনে গেছে আমার শপথ আর মনোভাষা, তাই শীত এলেই তোমার বাড়ি যাবার কথা মনে পড়ে যায়!
>>

ঘুম অথবা জাগরণকাল

28/09/2012 11:18
  জেগে আছে কেউ কেউ তাই বাইরের আকাশে ক্ষয়িঞ্চু ঝড় আজ তবে অধর ছোঁয়ে যাক নগ্ন হাত আকাঙ্ক্ষার ঝড়ে লুটোপুটি খাক বিকেলের মেঘ।   শুরুতে ওমন আশ্চর্য বাতায়ন কুয়াশা জমানো ভোরে হাঁক ছাড়ে শিশির কণা হালখাতা লিখা আছে বিগত রাতের শেষ বেলায় এক এক করে একাধিক অথবা সহস্রাধিক রহস্য এ আমার নয়- যারা বলে তারা আসলেই সম্বন্ধীয় কেউ ছিল না।   নিজ থেকে পিতা হয়ে চৌদ্দপুরুষ দেখিয়েছে সেদিন নিজেদের দিনে কালের ঋতি তার কিছুটা আলসেমি করে নিজের সাথে সামনে আসে অবাঞ্চিতজনের জলরঙা শরীর।   কেউ নেই, কেউ আছে আর কেউ কেউ গভীর ঘুমে জেগে আছে যে ছুঁয়েছে সে কালের শরীর জাগেনি যে শেখেনি কভু সহবাসী সুঘ্রাণ। 
>>

অবাক প্যাসেঞ্জার

25/09/2012 23:31
  সেই কবে ছেড়ে দিলে ট্রেন, আমি ছিলাম তার প্যাসেঞ্জার মালবাহী গাড়ির মত বয়ে নিয়েছিলাম সমূহ সম্পদ একটা সম্পদ মস্ত ছোঁয়াচে, ছ্যা ছ্যা করে খুঁজে নেয় আবর্তন বাকিগুলো সব নিতান্ত ছাপোষা নিজেদের গুটিয়ে রাখে বল্কলে। রোজ রোজ মাথা ধরে, অসহ্য ভীষণ ইস্টিশনের ধারে আলতো ছোঁয়ায় মন ভরে না, জাবর কাটে হিসহাস অসহ্য নরোম মেয়েলী স্বভাব নাম লিখিয়েছে ঘুণ পোকা স্তরে কেউ কেউ যায় নিজেদের পথে, বাকিদের পথ আমারই পথে। আমার পথ কুণ্ডলী পাকিয়ে থামিয়েছে দূরপাল্লার ট্রেন  অপরাপর পথে দিশেহারা কুকুর, সমুচ্চ ঘেউ ঘেউ  ইস্পিত আবর্তন জেনে ভয়ে গুটিসুটি আপনার পৃথিবী নিতান্ত সঙ্গোপনে কড়া শ্বাস নিই ফের ডুবুরী বাতাসে। সম্পদ জেনে আহরিত সব, সম্পদ মেনে উড়িয়েছি ফানুস ছেড়ে দিক ট্রেন, আসবে আবারো-  রোজকার মত আমি তবে থেকে যাব অবাক প্যাসেঞ্জার!
>>

মাংস

25/09/2012 23:26
    জানবে কিভাবে মাংসের মূল্য কত? মাংসাশী হতে চাইনি বলে দিনে দিনে মাংসের পিছনে ছুটতে ছুটতে হয়ে গেছি মাংস সন্ধানী। মাঝে মাঝে মাঝরাতে বিদ্যুৎ চমক শবছিন্ন এক আবহ বলয় নির্নিমেষ আবছা আলো, আন্ধারও কখনো দিন দিন নব ঢঙে, সম্মোহিত ভাব; অবাক প্রলয়। ক্ষুধা-তৃষ্ণা ভিন্ন পাঠ যেন মুক্ত শঙ্খচিল নবরূপে দীপ্যমান কাঁচা নোনতা রঙ, মাংস আসুক, মাংস সাজুক- আমিও একদিন আবারো মাংসপিঠে সওয়ার হয়ে করে যাবো মাংসের রচনাপাঠ।
>>

চা

25/09/2012 23:22
  তোমার চায়ের কাপে একটা মাছি পড়ুক তার দিনকার অর্যনে হয়ে উঠুক বিষগন্ধা মৌ প্রসন্ন বিকেলে এক পশলা বৃষ্টি আসুক ভিজিয়ে দিয়ে যাক সত্যাসত্য ওড়না। একদিন মেঘকে বলেছিলাম একান্তে চুপসে দিতে আপাতদৃশ্য সমূহ প্রসাধন অন্তর্বাসের অন্তর্হিত চেহারা ভাসুক কোন এক মাছরাঙার ঠোঁটে। আমাদের ধুম্রশালায় ইদানিং টান পড়েছে তাই আশ্রয় নিয়েছে সব গার্লস কলেজে ওখানে নিত্য বালিকার সহবাস- দৃষ্টিবিভ্রমে কেউ কেউ যায় চোখের আড়ালে। একটা মাছি ঘুরঘুর করতে থাকুক এক পেয়ালা চায়ে একটা প্রসাধন দোকানী হন্যে হয়ে ছুটে আসুক মাছির পেছনে আজ একটা মেঘখণ্ড আকাশে ব্যতিব্যস্ত হোক একপশলা বৃষ্টি হতে আমাদের চা মহকুমায় আজ বৃষ্টি হোক ওড়নার ওজন বাড়িয়ে দিতে।
>>

পাখিরা

25/09/2012 23:21
  দ্বিরূক্তি কেবল প্রবল বাতাসে তাই বাতাসকে বন্দী রেখেছিলাম দরোজার বাইরে বিন্দুসম বাতাস এসে ঠোকর খায় জানালায় গর্জে ওঠে গৃহসঙ্গীত, এখানেও আপত্তি ছিল, স্বভাব আমি বন্ধ করি ভেন্টিলেটর একটা হৃষ্টপুষ্ট গলি হেসে ওঠে বিকিরিত কিঞ্চিৎ আলো পড়শিদের চোখ কানা করে খানিক ছায়া দেয় অনুকংপায়ী গাছ। একটা জানালায় হাজার ছেঁদা ভাসে কেবল জলছাপ জানালার দখিণে আরেক জানালা কামরেণু কার্ণিশ ওখানে পড়শিদের ভ্রূকুটি নিরুত্তাপ দুপুর আদুরে জলপাই খেলা করে কুঁদিত বেলা। আমার জানালা বাতাস ডাকে, তোমার জানালা বাতাস রুখে বাতাসের মিত্র সাজে পাখিকুল, তারাও আমাদের কুটুম্ব হয়- তাই পাখিদের কাছে বসে পাখিসমাজ থেকে দূরে যাওয়া হয় না শুধু!
>>

বিবাহিতজন

25/09/2012 23:15
  দূরে যাও যত দূরে কাছে আসা হবে সহজাত নিয়মে কাছে আসো তত কাছে যত কাছে আসা যায় আদি নিয়মে আজ একটা জোনাকপোকা সাক্ষী থাকুক নীরব রাতে আজ টুইটুম্বুর সাঁকো পাড়ি দেয়া হোক অনন্ত সুখ সঙ্গমে। মাঝরাতে কেন তবে এত আদিখ্যেতা প্রাগৈতিহাসিক ধারা দৃষ্টান্তসম যা পূর্বপুরুষের তার বহতা ধারা এই উত্তরপুরুষেও কেউ কবে করেছে কী নিয়মের ব্যত্যয় শুনেছো কি এমন আজব নিয়ম  তৃণমূলে যাও ওখানে আছে ফুলের সুঘ্রাণ লুটেপুটে খাও তবু বলবে না কেউ আজ লুটেরা তুমি- এ যে সহজাত! ভারবাহী কনুইয়ে ঝড়ের পূর্বাভাস খুলে নিও সব অর্গল একটা কবিতার তরে জীবনপাত কবিতাই যেখানে উপস্থিত স্বয়ং ভ্রমণকালের আদিনেশা দেয়ালে দেয়ালে সিগমুন্ড ফ্রয়েড এ সাক্ষাৎ নিছক ছেলেখেলাই না এ যে গুণগ্রাহীদের উপস্থিতি সরব। আমাকে একটা বর্ধিত রূপ দাও ভ্রমণজাত, শীর্ষ কিংবা অতল আজ পুরো রাত থমকে যাক, বাহির নয় অন্তরেই খসুক সমূহ বৃষ্টি জল!
>>

Items: 16 - 30 of 156

<< 1 | 2 | 3 | 4 | 5 >>

Search site

একটি ব্যক্তিগত ব্লগ। সব দায় এবং দায়িত্ব লেখকের একান্ত নিজস্ব।