পাখি

14/07/2012 22:48

 

সবশেষে পাখি হবার কালে তুমি নেমে এলে ধরায়। ডানা ঝাপটানো শব্দে কেঁপে ওঠেছিল যে দেহকোষ তার খানিক বিশ্রামের কালে আমি নেমে পড়ি আপনার কর্মে। যার মূখ্য ভূমিকায় থেকেছিল তোমার নির্বাক চাহনি!
 
তোমার চাহনি ভাষা পড়তে জানি তাই অদ্যকায় একটা গোলাপকে দেখিয়ে দিয়েছিলাম তার আজন্ম কাঙ্খিত পথ। তারপর তোমার পথ চাওয়া, পথের পাশে নিজেকে গুটিয়ে রাখা। যদি আসো তবে যেন আমাকে ছাড়া পড়েনা আর কোথাও তোমার চোখ।
 
একদিন একটা নদীকে বলেছিলাম তোমার বাড়ি যাবার পথ দেখিয়ে দিতে। তার নৈঃশব্দ আর্তনাদ আমাকে কানে কানে বলেছিল কথাটা ফিরিয়ে নিতে। আমি নিইনি পাছে চাউর হয়ে যায় কথকতাগুলো তোমার কাছে! যদি তুমি ভুল করে ভুল বুঝো তবে আমার হারানো হয়ে যায় সব!
 
তোমার কাছে একদিন কোন এক নিস্তরঙ্গ বিকেলে বলেছিলাম ভালোবাসার কথা। বলেছিলে, ভালোবাসা ভালোবেসেই হয়; তার কতটুকু রাখা আছে তোমার কাছে? আমি সময়ের কাছে উত্তরটা আছে বলে বলেছিলাম, ভালোবেসে তবেই এসেছি ভালোবাসতে! তারপরের কাহিনী জেনে গেছে সবে- আপনাকে বন্ধক রেখে ভালোবাসার কাছে ছুটে যাওয়া। বহতা নদীর মতো গতিময়তাকে ধর্ম জেনে তোমাতেই আকণ্ঠ মজে যাওয়া!
 
একদিন কথা ছিল পাশে থেকে পাড়ি দেবো সবগুলো পথ। যে পথে হাটেনি আর কেউ! তুমি বলেছিলে এ পথে কী আছে? ভালোবাসা ছাড়া আমার বলার ছিল না কিছু। তাই বলেছিলাম, ভালোবাসা আছে শুধু ভালোবাসা! তারপরই তুমি পাখি হয়ে গেলে; নীলাকাশের পাখি!
 
অদ্যকার কথা বলছি বলে-পাখিকুল হয়ে গেছে পাখি ছাড়া অন্য কোনো! পাখি পাখি কত পাখি! সব পাখিই চোখে রাখি। চোখে চোখে চোখ দেখে চিনে নিই সেই সে সুহৃদ!
Back

Search site

একটি ব্যক্তিগত ব্লগ। সব দায় এবং দায়িত্ব লেখকের একান্ত নিজস্ব।