ঐশ্বরিক গন্ধ
12/07/2012 23:30
খুব ভোরে সূর্য উঠার আগে একবার নিজস্ব ভুলে অনেক দূর পথ হেঁটে গিয়েছিলাম একাকী। অনেক পথ হেঁটে যাবার পরে মনে হয় এখনো শুরু হয়নি পথচলা। তাই ফি পথে পথচলার শুরু ফি-বার! এভাবে, এভাবেই হয়তো কোন একদিন পথের দেখা পাওয়া হবে বলে জেনেছিলাম কেউ কোন একজনের কাছ থেকে! কে, কখন আর কেনই বা বলেছিল তা আমি মনে করতে পারছিনা মোটেও!
এখানে যেখানে একবার তুমুল পদক্ষেপ ফেলেছিলাম সেখানে আজ দেখি কিম্ভূত পদচিহ্ন। এ আমার নয় বলে খানিক অবিশ্বাস্য চোখে বলেছিলাম কেউ কোন একজনকে। একান্ত সময়ে ভেবে দেখি এ আমার ভুল ছিল; খুব চোখে পড়া ভুলই! তাই ভুলের ফেরে নিজেকে জড়ানো হবেনা বলে সাক্ষী রেখেছিলাম একটা অবিশ্রান্ত পাখিকে। এ পাখি ডানা মেলতে জানে। তাই পুনর্বার ডানা মেলে বাতাসে; ফুড়ুৎ!
কিছু নিরবচ্ছিন্ন সময় কিছু নিরবচ্ছিন্ন পাখিদের সখা হয়েছে। আমি হয়তো তার কাছাকাছি সময়ে তাদের কাছাকাছিই আসি। কাছে আসা মানে পুরো কাছের না হলেও কিছুটা সময় ধার করে নিই পাখিদের থেকে। পাখিসমূহ হয়তো আনমনে হাসে, আমি বুঝতে পারিনা তাদের মনোগতি।
পাখিসমাজে থেকে পাখিদের থেকে খানিক দূরে হলেও পাখিদের গান শুনছি অদ্য!
ঐশ্বরিক গন্ধ
ঐশ্বরিক আশ্চর্য দর্শনে মেতে আছে যুবা
তার চোখেমুখে কামাগ্নি উপচে পড়ে
মাঝরাত সামনে এলে একাকীত্বের ঢেউ-
এখানে নন্দনের বালাই নেই কোনো
আছে কেবল দরোজা বন্ধের অভিপ্রায়।
একটা অবধারিত বিষাক্ত ফুল লালন করেছে সে
বিগত জীবন থেকে এ জীবনে এসেও
মাথার অবিন্যস্ত চুলের ভেতর থেকে তীব্র ঘাম ঝরে
শ্লথ ভঙ্গিমায় এক লহমায় দেখে নেয় পরিবেশ
যেখানে ঝুল বারান্দা সেখানে ধূর্ত চোখ খুঁজে
নোটারি পাবলিকের শাহরিক গর্জন গ্রাম্য ভঙ্গিমায়।
এ যুবা নিয়ত খুঁজে তীব্র ঐশ্বরিক গন্ধ
বেড়ে চলে পৃথিবীর গতি একাকী মাঝরাতে হেলে পড়ে চাঁদ
আচমকা ঈশ্বর নামেন মাটির পাত্রে; ইস কী আরাধ্য উত্তরীয় হাওয়া
সব একাকার হয় একান্ত সময়ে, সাধু সন্ন্যাসহীন জীবনে।
———
Back