নিজস্ব বাতায়নে

 

১ম কাব্যগ্রন্থঃ রাত আর ঘুমের কৃষ্ণপাঠ
প্রকাশ সাল ২০০৮
বনসাই প্রকাশন, সিলেট।
 
২য় কাব্যগ্রন্থঃ  আমাদের ঈশ্বরের অ্যাপয়েনমেন্ট দরকার
প্রকাশ সাল ২০০৯
উৎস প্রকাশন, ঢাকা।
 
৩য় কাব্যগ্রন্থঃ নিরবচ্ছিন্ন পাখিসমূহ
প্রকাশ সাল ২০১২
বাঙলায়ন, ঢাকা। 
প্রকাশিতব্য কাব্যগ্রন্থঃ রাত জেগে আমরা ঠকিনি
______________________
 
পিতাঃ আজিজ উদ্দিন চৌধুরী। 
মাতাঃ ফখরুন নেছা আজিজ। 
৭ভাই-বোনের মধ্যে ৩য়। পেশাগত জীবনে এক কর্পোরেট চাকর! কাজ করি, কাজ করে যাই; পেটের তাগিদে। 
________________________
 
 
বলার মত কিছু নেই। খুব সাধারণ এক! কিন্তু মাঝে মাঝে অসাধারণ হয়ে ওঠার সাধ জাগে। 
_________________________
আমার পূর্বপুরুষ বলেছিলো তোমার নাম হবে কবির। তুমি এ নামেই পরিচিত হবে! সেই থেকে আমি কবির;কবির য়াহমদ!
আমি নিজে নিজেকে নিয়ে বেশিরভাগ সময়ই ভাবি অথবা ভাবি না কোনো সময়েই। কিন্তু তবু আমি কবির। মরার আগ মুহুর্ত পর্যন্তই কবির! আমার আর কোন পরিচয় নাই। বাবা-মা'র দেয়া নাম ছাড়া অর্জন করতে পারিনি আর কিছুই। তবু আমি চেষ্টা করছি! কী চেষ্টা করছি সেটাও জানিনা। এ এক অদ্ভুত নিয়ম হয়তো! আমরা নিজে নিজেকে খুঁজি, ভাঙি-গড়ি!
আমার পরিচয় আর নিজে নিজেকে নিয়ে লিখেছিলামঃ
__________________________
কায়মনোবাক্য কায়মনোবাক্যে জড়ায়
একদিন দিন হয় প্রখর রৌদ্রতাপে
জানালার আরশীতে দেখে যায় সে আপনার মুখ
এ মুখ পোড়ামুখি সাজে অবেলার তরে
বেলা বেলা কত বেলা যায়
আমার সময় হয় না কেবল বেলা ধরার!
 
জন্মে জেনেছি আমি জন্মালেই হাটা ধরা হয়
হেটে যাওয়া পথে, এ পথ বন্ধুর কোনো
পূর্বপুরুষের দেখানো পথ তবু হাটা ধরা চাই নূতন করে
তাই জন্মান্ধক্ষণে সামনে আসে আমার নিশ-পিশ করা হাত,
হাতে হাতে হাত পাতে একটূকরো জলে জমে সখ্যতা
জলে জলে জলকেলি বেলা জানে বেলাময় খেলা
এ এক আচানক কোনো আমাকে নিয়ে খেলে
আমি খেলি তার ছলাকলা নিয়ে-
আমাকে হারায় আমার খোলস; এক নিরীহ কর্পোরেট চাকর।
 
আমার বলে দেয়া কাল কাল রাতে ঝড় হয়েছিল
ওড়াতে চাইছিল সমূহ কাল তবু মাঝপথ মাঝপথে থামে
পথে পথে আর একটা পথ যোগ দিলে
এ অহর্নিশ পথে থামে এক বেকুব কবি।
 
শুনেছি, আমার অবিশ্রান্ত সময়ে আমাতে বিতর্ক হয়েছিল
অন্তঃস্থ “আ” নিয়ে। আমিও বলেছি আমি ঠাঁঠ না বাইরের
নাচিনি কোনকালেও বাঈজী নাচ তাই কোন হাতেও ওঠেনি কোন উপঢৌকন
নিজে নিজেতে একেশ্বর হয়েও সব কালের কাছে হয়েছি নত
ক্ষমা চেয়েছি নিজেতে করজোরে একান্ত নিজস্বতায়
আমি আমাতে সমর্পণ করে তোমাদের কাছে বলেছি দৃঢ়তায়
আমিই কেবল আমাকে জানি তাই চুপি চুপি বলি
চলো নষ্ট হই, নষ্ট হয়ে যাই নিজের মাঝে আপনাকে বিলোনোর কালে,
আমার হাতে জন্মে আর এক হাত পায়ে জাগে আর এক পা
মগজে মগজে জন্মায় নূতন কবির আচানক কবির
নষ্টের সংজ্ঞা পাল্টে যায় আমার হাতে, স্বভাব কবিরের হাতে
এ এক আজব কাল তাই আমিই কেবল বলে দিতে পারি
এ আমার পূর্বপুরুষের দায় কবির করেছে বলে তাই শেষবেলায় এসে
কবিরের কাছে কবির হারে খোলস পাল্টে হয় য়াহমদ 
____________এক সাদামাটা কবির য়াহমদ
(কবির য়াহমদ/ নিরবচ্ছিন্ন পাখিসমূহ/২০১২)

Search site

একটি ব্যক্তিগত ব্লগ। সব দায় এবং দায়িত্ব লেখকের একান্ত নিজস্ব।