ছোট্ট তবু ক্ষুদ্র নয় (খুচরা লেখা)

 

১,
কোন একদিন আমরা ভবিষ্যত সাজাতে অতীত ভুলে যাই।
 
২,
পথচলতি পথিক জানেনা কোন পথ তাদের অপেক্ষায় থাকে।
 
৩,
জীবন বাস করে জীবনের গহীনে তাই দরকার প্রথমেই জীবনপাঠ।
 
৪,
পূর্বপুরুষ জানেনা উত্তরপুরুষী ধর্ম।
 
৫,
তুমি চলে গেলে তোমার পদচিহ্ন থেকে যায়।
 
৬,
প্রেম চায় মনোনিবেশ আর মন চায় সুন্দর একটা মন।
 
৭,
প্রেম একজনকে বোকা আর অন্যকে করে কৌশলী।
 
৮,
অন্তঃস্থ ভালোবাসা অন্তরেই নিরাপদ।
 
৯,
ভালোবাসার শেষ কথা তবু ভালোবাসা।
 
১০,
জগতের সব জগতবাসী জানে একজনই তাদের সুহৃদ; কবির য়াহমদ।
 
১১,
এই ইট-পাথূরে নগরে আমি এক কর্পোরেট চাকর।
 
১২,
আমি তার ছিলাম বলে তার কাছে বারবার ফিরে ফিরে যাই।
 
১৩,
আমার কাছে সময় আছে তোমাকে সময় দেবার।।
 
১৪,
এই দুঃসহ গরম পাড়ি দিলে আমি হয়ে যাবো স্বতন্ত্র কোনো এক।
 
১৫,
ট্রেনে চড়লে মনে হয় তুমি চলে যাচ্ছো তুমি দূর থেকে বহুদূরে।
 
১৬,
জন্মে জন্মের প্রতি আকুলতা বাড়ে।
 
১৭,
জন্ম নেয়া শিখে গেলে জন্ম দেবার পর্বে নাম লিখানো যায়।
 
১৮,
যার মাঝে হতাশা নেই সে অনুভূতিহীন এক ভোতামানব।
 
১৯,
কত নদী সাগরে মেশে তবু কবির নিয়ত ঘুরপাক খায় জীবনের কক্ষপথে।
 
২০,
আমি কী করে পথে নামি আর কোন সে পথ আমার জন্যে থাকে অপেক্ষায়।
 
২১,
তোমাকে চাওয়ার কালে আমি হয়ে যাই দূর্ধর্ষ মৌলবাদি এক।
 
২২,
চৈত্রের খরা ভেসে যায় মাটির টানে আর বৈশাখি সুরের অনুরণনে।
 
২৩,
আকাশের দিকে তাকালে নিজেকে অবাঞ্চিত মনে হয়।
 
২৪,
গভীর রাতের কাছে আমার ব্যক্তিগত কিছু চাওয়ার আছে।
 
২৫,
তোমাতে-আমাতে প্রেমের বিসর্জনপর্বে রচিত হয় আর এক নতুন প্রেমের।
 
২৬,
পদাধিকারবলে আমি প্রেমিক হয়ে তোমাতেই আমার প্রেম সমর্পন।
 
২৭,
হে পৃথিবী, তুমি এক বেকুব কবি-কোন পথে শেষ হয় তোমার সমূহ ছলাকলা।
 
২৮,
সঙ্গম শেষে রাতের গল্প নিতান্ত একঘেয়ে।
 
২৯,
জন্মে জেনেছি আমি পূণঃজন্ম হবে আর সে জন্মে আমিই হবো মানবশ্রেষ্ঠ কর্মবীর।
 
৩০,
মাঝে মাঝে রাস্তায় অপলক হাটেন সিগমুন্ড ফ্রয়েড।
 
৩১,
এই চৈত্রে একপশলা বৃষ্টি হবো তোমার গা জুড়িয়ে দিতে।
 
৩২,
জেনেছিলাম তুমিই প্রেম ভালোবাসার জ্বলজ্বলে ফুল।
 
৩৩,
এক পথ মেশে আর এক পথে তবু জীবন মেশে শুধু তোমার কক্ষপথে।
 
৩৪,
মাঝরাতের আচমকা চাঁদে ক্ষয়ে ক্ষয়ে যায় চাঁদের শরীর।
 
৩৫,
তোমার বাড়ি আমার বাড়ি বেশ খানিকটা দূর।
 
৩৬,
আমি আমাকে হত্যা করি আমার বেপরোয়া সময়ে।
 
৩৭,
হে আমার একচিলতে আকাশ আমাকে বেঁধে রাখো তোমার ঝুল বারান্দায়।
 
৩৮,
ভালোবেসে ভালোবাসা দাও।
 
৩৯,
যে যা-ই পড়ুক,আমি পড়ি তোমার শরীর।
 
৪০,
একদিন সিগারেটের টঙ ঘরে আমাকে ডাকেন স্বয়ং জীবনানন্দ। 

 

 

৪১

 

অবশেষে যখন দেখি নিজের কাছে বাকি কিছু নেই
তখনই সিদ্ধান্তে আসা হয়ে যায়, আসলে তুমিই সেরা!
 
৪২
ভুত হয়ে গেলে সবকিছুর উর্ধ্বে উঠে যেতে পারতাম!
 
৪৩
আমি আমার কাছে পুরোপুরি বন্দী হয়ে আছি এখন।
তাই আমার জন্যে আলাদা কোন কারাগার করার দরকার নাই তোমাদের!
 
৪৪
কয়েক হাজার বছর ধরে বৃষ্টির মুখ দেখিনা
আমাকে এক পশলা মাত্র বৃষ্টি দাও!
 
৪৫
প্রেম-অপ্রেমে কাছে থেকো;
তত কাছে-
যত কাছে এলে মনে হবে আরো কিছু কাছে আসা যেতো!
 
 
৪৬
মনে রেখো, একদিন একটা বুনোফুল তুলে বাতাসে ওড়িয়ে দিয়ে বলবো-
আমাদের পৃথিবী ছোট হয়ে যায়নি; আছে ঠিক ঠিক আগের মতই!
 
 
৪৭
আমাদের যা গেছে তা কী আর আসবে ফিরে
আমাদের যা আসবে কাছে তার কিছু কী চাওয়ার কালে চেয়েছিলাম কখনো
মনে মনে ভেবে নিলেও মনের কোন কিনারা পাইনি আজো! 
 
৪৮
অস্থির সময় আকাশে ওঠে যাও; আমরা শান্ত সময়ে শান্তির গান গাইব
 
 
৪৯
অফ-লাইনে অনেক দিন বাঁচতে চাই; অন লাইনে নয়!
 
 
৫০
আমাকে তুমি তুলে নাও আসমানের ওপারে যেখানে জড়িয়ে আছে সোদা মাটির ঘ্রাণ....
 
 
৫১
গরীব বলে কী বৃষ্টিসুখ থাকতে নেই!
 
 
৫২
প্রিয়(রা) কেন হারিয়ে যায় নিজেদের কাছ থেকে; আমাদের কাছ থেকে....
 
 
৫৩
ছুটির দিনে মনে হয় দূরে কোথাও ছুটি।
কিন্তু কোথা যাবো; কোথা হারাবো? 
 
মাঝে মাঝে ভাবি যদি আমি বাজাতে পারতাম একবারের জন্যে হলেও অজানা ছুটির ঘন্টা।
তবে অতি অবশ্যই ছুটে যেতে পারতাম নিজের থেকে; নিজের একান্ত সময় থেকে 
 
 
৫৪
ঘুরছে সব; ঘূর্নাবর্তে সব!
তাই অবশেষে জেনেছি আমাদের পালাবার কোন পথ বাকি নেই!
 
 

৫৫

 

ইস, কী দুঃসহ যাপিত জীবন! 
ইচ্ছে হয় বলি- আর না! নাহ, আর না!!
 
৫৬
সামনে দাঁড়াও। আমি ভূগোলে এ প্লাস পেতে চাই... 
 
৫৭
ক্ষমা চাই, ক্ষমা চাই নিজের কাছেও ক্ষমা চাই
ক্ষমা করো, ক্ষমা করো আগে নিজে নিজেকে ক্ষমা করো-
 
সত্যিকার অর্থে সবার কাছে ক্ষমা চাই
অপরাধী আমি নতজানু হয়েছি ফিরেছি তোমার দ্বারে.....
 
৫৮
ক্রমশ বুড়ো হয়ে যাচ্ছি তবু এ নিয়ে আফসোস করছিনা মোটেও...
 
৫৯
আমার মৃত্যুদিন আমাকে শিখিয়েছে বিস্তর তাই আমি একাকীজন
আমার মৃত্যুদিন আমাকে বলেছে আমি ছিলাম প্রকৃতই অস্তিত্বহীন। 
 
৬০
বেলা-অবেলায় কত পথ দিয়েছি পাড়ি
দিনশেষে মাঝে মাঝে দেখি পড়ে আছি পথের বাঁকে
 
এভাবে কত; আর কত পথ দিতে হবে পাড়ি.....
তাই এদিনে নিজেকে দেখি একান্ত করে আর নিজেকে শুধাই কেমন ছিলে এতদিন! 
 
৬১
কে জানে কে ডাকে চুপি চুপি
তবু কেন তাঁর আশায়
একা বসে থাকি....
 
৬২
কলম ইউনিট"------
কলম ইউনিটে কেবলই বাড়ে না কলমের ধার! 

 

৬৩

মাঝরাতে কে যায় মন জানালায় উঁকি মেরে--

 

৬৪

 

উঁকি দিয়ে কে যায়,
দূর থেকে তারে ডাকি-
আয়, ওই কাছে আয় !
 
৬৫
বিসর্জনেও অর্জন আছে, আছে আরো কিছু অপেক্ষার ধারাপাত
দেবী আসে, দেবী যায়, রেখে যায় মুগ্ধতার খসানো কিছু রাত
কেউ কেউ অবিনাশী, কেউবা বিণাশী তবু বেজে চলে ঢাক
ধূপছায়া সন্ধ্যায় পথিকেরা বসে; আজ সে হাতড়ায় কেবল প্রণয়ের ডাক। — 
 
৬৬
শেষবেলায় এসে নিজেকে প্রবোধ দিই এখানে আমাদের কোন কিছুই করার ছিলো না!
তাই ভাবতে চাই আমরা ভালো আছি আমাদের নিজেদের মতো করে।
আমাদের যারা আমরা বলে খানিকটা দেয়াল তৈরি করে নেয় আমি তাদের থেকে নিজকে খানিকটা আড়ালেই রাখছি.....
 
৬৭
মন খারাপের সময়ে এক গ্লাস পানি খাও .........
 
 
৬৮
শিল্পে দায়বদ্ধতা আর শিল্প কদরে তোমার কাছাকাছি যেতে পারিনি বলে শিল্পকলায় আগ্রহ কমে আসছে, ক্রমশ...
 
৬৯
তাকে ফেরাও
তা না হলে একটা ব্যথাতুর অনুভূতি কুরে কুরে খাবে জীবনভর...
 
৭০
তবু তুমি ঘুম হও, ঘুমের রাণী বলে
তোমার কাছে চাইছি আমি একটুকরো ঘুম!
 
৭১
তোমার এলোচুলে যদি হানা দেয় দখিনা বাতাস আমি তবে উত্তরের জানালা হবো......
 
৭২
যারা বিশ্বাস করে ভালো আছি তারা থাকেই......
 
৭৩
হাওয়ার সাথে জমে থাকুক আরো কিছু লেনদেন...
 
৭৪
তোমার রুদ্র মূর্তিতে যে মেরুদন্ড ঋজু হয়ে প্রমাণ করে আমার আমিকে
সেই আবার ভালোবাসা পেলে নতজানু হয়ে যায় ভালোবাসার কাছে...
 
৭৫
সন্ধ্যার মতো ধীর লয়ে আজো বৃষ্টি নামুক.....
 
৭৬
হাওয়ায় হাওয়ায় মাতম উঠে শুকাতে থাকে ঘামে ভেজা শার্ট; ক্রমশ.....
 
৭৭
রেললাইনের ফাঁক গলা পথ হাপিত্যেসে মরে পদচিহ্নের খোঁজে
এক পথে তেড়ে আসে রেল আরেক পথে চতুর পা
পা হাঁটে, রেল দৌড়ায়, কার গতি কত মাপেনি কেউ...
 
৭৮
পাবলিক লাইব্রেরীতে কিছু ইদুর মাঝে মাঝে ডুকে কাগজে দাঁত বসাবে বলে
মাঝে মাঝে মল ছাড়ে বাতাস হয় দূষিত। 
 
অথচ দিনশেষে পাবলিক লাইব্রেরী সেই আগের মত কেমন করে পূত-পবিত্র হয়ে যায়!
৯-৯-২০১১।
 
৭৯
এই রোদ, এই মেঘ, তারপর আকাশ পানে অগুন্তি চোখ
আয় বৃষ্টি আয়....

 

 

৮০

 

অনেক প্রাজ্ঞজনের ভীড়ে কিছু বেকুব কুকুর হিসু করে দেয়ালে দেয়ালে!
 
স্হান পাবলিক লাইব্রেরী। ৯-৯-২০১১।
 
 
৮১
তোমার কাঁটাতারের বেড়া উঠিয়ে দাও
আমি মুক্ত পৃথিবীতে নিতে চাই নির্মল নিঃশ্বাস
 
কাঁটাতারের বেড়া ভালোবাসা বাড়ায় না
ওখানে ঝুলে মানুষের লাশ আর বয়ে চলে রক্ত লাল
একবার উঠিয়ে দাও, দেখো কত ভালোবাসা জড়িয়ে থাকে মুক্ত পৃথিবীতে
 
৮২
ভালো আছি এই ভেবে আসলেই ভালো লাগে।
তাই মাঝে মাঝে খুব সকালে ঘুম থেকে জেগে উঠে ভাবি- 
আমার আরো আগে জেগে উঠা উচিত ছিলো! 
 
৮৩
যে তুমি যা ভাবছো বসে আজ 
এ আমার অনেক আগেই ভাবা হয়ে গেছে...
 
৮৪
আমি তোমার বিরোধীদলে
তুমি তবু আমায় নিলে---
 
৮৫
মাঝে মাঝে শেয়ালের হুংকার শুনতে ভালোই লাগে।
শেয়াল ভাবে তার স্বরে গাইছে সে সুমধুর গান
কিন্তু আফসোস শেয়াল জানেনা সে শেয়ালই
হাজারো কসরতে সে কখনোই কোকিল হতে পারবে না!
 
৮৬
ভালোবাসার ভিক্ষা চাইছি তোর কাছে
তুই ত বিলিয়ে বেড়াস ভালোবাসা
সবার মতো আমিও হাত পেতেছি তোর কাছে
তুই কী আমার ভরিয়ে দেবে ভিক্ষার থলে---
 
৮৭
চোরা না শুনে ধর্মের কাহিনী
ক্যামেরা নিয়ে টানাটানি
ফুল নয় ভুলে ভরা সব
অন-লাইনে কলরব!
 
৮৮
একদিন চলে যাবে সব
একদিন চলে যায় সব...
 
৮৯
তার চোখে চোখ রেখে একদিন বলেছিলাম এসো বৃষ্টি নামাই, এসো বৃষ্টি হই- সে কিছু বলেনি শুধু অবাক বিস্ময় তাড়া করছিলো তার চোখ আমি বুঝে নিয়েছিলাম তার চোখভাষা তাই শেষ পর্যন্ত বৃষ্টি নামানো হয়ে উঠেনি হয়ে উঠেনি বৃষ্টি অথবা তার আগেকার বিমূর্ত মেঘ----
 
 
৯০
চিঠি: 
যেখানে জমে আছে কিছু হতাশার প্রতিচ্ছবি অথচ প্রেরক মাঝে মাঝে বুঝতে চায়না তাঁর রেশ...
 
৯১.

 

Search site

একটি ব্যক্তিগত ব্লগ। সব দায় এবং দায়িত্ব লেখকের একান্ত নিজস্ব।